কবি যখন মনের ভেতরে মন লুকিয়ে লিখতে করে শুরু
জানি কেবলই দুরু-দুরু
বক্ষে তার এক ইথার যাত্রা শুরু হয়
অনন্ত অজানার পানে; অদেখা আলোকময়
হাসি-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা,
এ সব লেনা-দেনার জগৎ-সংসার ছেড়ে সহসা
অন্য কোথাও অন্য কোন খানে ভেসেভেসে
হয়তোবা দূর নিহারিকায় এক জীবন্ত নীলকুঠি গড়ে সে
তারপর শুরু হয় অত্যাচার, কেবলই অত্যাচার-
বধুর মধু হরণ, অষ্টাদশীর ঘাট-বাট, স্বপ্ন বিহার
বন্ধ হয়ে যায় নিমিষে
বৃদ্ধের পাঁজর ভাঙে চাবুকের বাড়িতে বাড়িতে, আর শেষে
ক্ষেতের পর ক্ষেতে নীলের জবরদখল;
নাভীশ্বাসদশা তার বুঝি কেবল
তারপর আবার ফিরে আসা-
চিরচেনা ঋতু বদলের মতন সেই বাসা,
ঠিক সেই উঠোনের কোণাটায়
জলচৌকিতে, সেই সজনে গাছের তলায়
আলবোলাটির কাছাকাছি কোথাও;
আবার নিত্য সংসার-ঝড়ে পালাও পালাও