এক শীতের সকালে প্রভুর নাম জপে জপে কবি গেছে সেলুনে
কর্মদিনটা বুঝি শুরু হয়ে ওঠেনি; গুনে গুনে
জনাতিনেক মেকার আর নাবালক ক‍্যাশিয়ার
নিশ্চুপ বসে আছে গুটিসুটি মেরে
কবিই বুঝিবা প্রথম ভিকটিম আজ এই ঘরে!
চেনাচেনা এক মুখ হঠাৎ উঠে এসে
আসনে বসিয়ে তোড়জোড় শুরু করে সে
কবি বলে, শোনো বাবা, দুকানখাড়া করে আগে
আমার ফিরিস্তি শোনো-‘দুহাতে চিরুনী কাঁচি ধরে
দুটি কান খাড়া করে
মেকার রীতিমত অপলক চোখ’-মাথার উপরটা
থাকবে তোমার নাগালের বাহিরে, কেননা, ঢেকে রাখা
হলো তার কাজ, আর কপালটাতো আমার!
বাকি তিনপাশ আজ তোমার;
হবে মিডিয়াম থেকে একটু ছোট
পিছনটা স্ট্রেট-কাট, ঠিক কবিতার মতো
ঘাড়ের লাইন হবে শূন‍্যকোণে সমান্তরাল
চিপ দুটি হবে দশাবিবেচনায় সর্বোচ্চ লম্বা এবং চওড়া।
এই ফিরিস্তির রেকর্ডটি তোমার কানের কাছে ঝুলাও
তারপর ক্ষুরকাঁচি চালাও
মনে রেখো, মাথাটি আমার, এই মুহূর্তে চুলগুলি তোমার
আমি কবিতার মতো নিটোল আনকোরা এক ছাঁট চাই
বলি তাই-
যেন ইচ্ছেমত দাঁড়িকমা দিও না
আর খেয়ালের বসে উপমা-উৎপ্রেক্ষা বসিও না;
আমি অচল কবি এক, হয়ত শেষতক তুমি রক্ষা পাবে
জেনে রেখো, তাহার কাছে আমার কিন্তু দফা রফা হয়ে যাবে
তাই, সাবধান! কোন ফাঁকিজুকি নাই
আবারও বলছি-আমি কিন্তু কবিতার মত ছাঁট চাই
এখানে তোমার স্বাধিনতা অচল, একেবারে ভূমিস্মাৎ
আরো মনে রেখো, তোমার স্বাধিনতায় তোমার বাজার বিপন্ন হবে
আর তুমি হবে কুপোকাত!