চার-চারটি ইথারিয় ভ্রমণ-শেষে
অতঃপর আমি কবি তোমার দুয়ারে এসে
পৌঁছুলাম। অনন্ত খরা-বুকে শুধু অপেক্ষা অনিশ্চিত মেনে
এতকাল শুধু বৃষ্টি ও বজ্রের জন্যে
আজ শুধু চোরাকারবারির মতো করে
তোমারই নির্যসটুকু দুকরতলে ভরে
ধ্যান-মগ্ন কবি এক আত্মস্থ করবো বলে
অবশেষে তোমারই দুয়ারে কবিতার ছলে
পেতেছি আস্তানা। অথচ এত সহজে তুমি রাজনীতিকের ন্যায়
মুখ ফিরালে আজ কবি ও কবিতার গন্ধ থেকে, হায়!
এতবড় বিষ্ময় জগতে আর কী আছে বলো শুনি
জানি, তুমিই পারবে এক কবি ও কবিতার খুনি
হতে আজ। পারবে সার্জনের আঙ্গুল দিয়ে খুলে খুলে নিতে
কবিতার পাঁপড়িগুলি আমার, আর ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিতে
চারিদিকে আজব অবহেলায়। জানি এতদিনে বদলে গেছে সকলের মন
আমাদের প্রিয় সমাজ-রতন
হাসি কান্নার জল
হয়তবা বদলে গেছে কবিতার আদল
বড়বেশি গোপনে গোপনে
কিন্তু তুমি এতবেশি বাণিজ্যিক হয়ে গেছ আজ মননে ও উচ্চারণে
বিভ্রান্ত কবির এতো জানা ছিল না
তাইতো আজ আর অশ্বমেধ যজ্ঞ হলো না
তুমিযোগে কবিতার। অবশেষে,কবি এই ধূসর কালে
একটি রাতেই ইতিহাস হয়ে গেল। কবিতারা ভেসে গেল রূপসার ঘোলাজলে
আর দগ্ধ কবি ধূয়া হয়ে ভেসে যায়
কসবী রাতের কুয়াসার ডানায় ডানায়