শুরু থেকে এতবেশি বিষন্ন কেন হে নারী, কেন এ বিষন্নতা?
মিন্দানাওয়ের মতো গভীর, এক তলহীনতা!
কেন নিরন্তর লালন করে চলেছো এ বিষন্নতার মায়াবী লতাকে
স্বীয় সত্তার মত? তোমার এ বিষন্নতা বড়বেশি কষ্ট দেয় আমাকে
বিয়োগ-বিধুর কোন স্বজনের মতো
একান্ত ভেতরে বাহিরে অবিরত
আমি যে সেই কবে থেকে কী এক বিরল ঢঙে
সাজিয়েছি চলেছি কেবলই তোমাকে স্বপ্নের সাত রঙে;
ধূপধনু সন্ধ্যার নবান্নের নিকোনো উঠোনে
মতুয়া বধুর আল্পনা কাহিনী যেন। আমি এই মনে
শুধু তোমাকেই প্রেয়সী মানবী মেনেছি যে,
তাইতো আজি এ
বিরল পাওয়া মুখরা চৈতালী মেলায়
হৃদয়ের কথকতায়, প্রতি অঙ্গের মুখরতায়
আমিও মুখর হবো তেমনই করে;
কেটে যাবে আমার হাজার বছর যেন কোন এক শ্রাবস্তী নগরে,
ফুলবতী ধূপশিখা মিলিয়ে যাবে ধীরে-ধীরে
অতঃপর কোন সে ফলবতী সন্ধ্যার আবিরে আবিরে,
কিন্তু কেন এ বিষন্নতার নীরব গল্প-কাহিনী
তোমার কেবলই দীঘল হয়? কেন নীরব-নিস্তব্ধ দূর-রোহিণী
হয়ে রও কেবল? কেন এ নৈঃশব্দের শ্বেত-কাফনে
ঢেকেছো আপদ-মস্তক অকারণে
তোমার? তুমি কি বোঝ না, তোমার এ বিমুখতা
ব্যর্থ সন্তের মতো কাঁদায় আমাকে সর্বদা
‘ঝিলামের ঝিলমিলি’ মলিন হয়ে যায় নিমিষে
কেবলই দেখি বিপাশার বুকে জেগে ওঠে দিশেদিশে
অতঃপর
এক নিষ্ঠুর বালুময় চর
হে আমার প্রেয়সী মানবী!
হে বিষন্নতার দেবী!
বের হয়ে এসো আজ কুচফলের মতো এ বিষন্নতার বক্ষ চিরে
ধীরে ধীরে
বড়বেশি হৃদয়বতী কৃষ্ণচূড়ার ফাগুনে,
হও কোকিলের মতো মুখরিত,তোমার সে মুখরতার আগুনে আগুনে
এ হৃদয় পুড়ে যাক, পুড়ে যাক!
হয়ে যাক খাঁক!
ধূপশিখার মতো আমার এ কাঙাল কায়া ধীরেধীরে
হারিয়ে যাক তোমারই মুখরতার আবিরে-আবিরে