কাব্য শুধু কাব্য করেই প্রেমের কথা নয়
এ যেন অন্তরের আত্মা-খোঁজা বিহ্বলতাময়
এক পথিকের নির্ঘাত আস্তানা
হয়তবা শিউলী-মাখা সকালের মাতাল হাওয়াখানা
এই ইথারীয় জগতে কখনো নেই
নেই তার দোলালাগা শিরশির অনুভূতি সেই

তবুও এখানে আছে জীবনের ঝরে যাওয়া
পাঁপড়ীগুলির অন্তর-বেদনার ছোটছোট গল্পের হাওয়া
আছে অনাগত মুকুলের আবছায়া ইঙ্গিতও
মরণ এখানে কেবল জীবন-কণিকায় উৎসারিত
অবিরাম দিকেদিকে
যেন মহাকাশের ন্যায় কেবলই প্রসারিত হচ্ছে যুগেযুগে

কাব্য নয় শুধু রমণীর রমণীয় রূপের স্তুতি
নয় জেলিমাখা ঠোঁটের শিরশির অনুভূতি
স্মৃতির চিত্রপট কিংবা মন না-মানা
কেবলই থুবড়ে যাওয়া মুখের শান্তনা
এ যে শত শিশিরের বধ্যভূমি
শত সূর্যের জন্মভূমি
একই মৃত্তিকায় জীবন্ত ঘাস-মিছিলে
আজব এক প্যান্ডোরার বাক্স যেন বিপরীত দুয়ে মিলে
 
কাব্য মানে ভূতদেখা বীরত্বের ঠিকরে পড়া
চোখের আশা নয়, নয় নিষিদ্ধ অন্ধকারে চড়া;
কেবলই এক নিস্ফল কানাকানি।
শুধু জানি-
কাব্য হলো আলোর ইঙ্গিত বাহী শতশতপান্নার
অসহ্য যন্ত্রণার এক মহাগর্ভভার
আর এই কাব্যের গর্ভেই আছে নেতাজী, আতাতুর্ক
করমচাঁদ, জোয়ান অব আর্ক
প্রমুখ কালান্তরের মানুষেরা;
কেবলই স্বপ্ন, বিশ্বাস আর দেশ-প্রেমে ঘেরা