কবিরা কেমন যেন হয়ে গেছে আজকাল
তারা আর কবিতার ভাষায় কিছু বলে না, একেবারে বেতাল,
বেখেয়াল, বেসুরো ভাষায় কিছু বলে, আবার কিছু বলে না
আকারে ইঙ্গিতে পাশ কাটিয়ে চলে, সোজাপথে চলে না
কখনো। আবার মেঘের ফাঁকে চাঁদের মতো উঁকিঝুঁকি মারে
কখনো টুকিটুকি খেলে দৃশ্যের কিনারে
কবিতার ভাষা ছিল সরাসরি যুগের ডিমান্ড
এক সময়, কিন্তু কেমনে হয়ে গেল তা আজ সময়ের রিমান্ড!
প্রতিটি ক্ষণ, সময়ের কোণা-কাঞ্চি সে নিখুঁতভাবে একে নেয়
তারপর মগজের আকাশে ছেড়ে দেয়
এক আজব সিগনাল
কবি ভাবে এক, আর ভাবায় আকাশ-পাতাল
কবি যা কাঁদে তা কাঁদায় না
কখনো। কবি যা হাসে তা হাসায় না
কবির হাসির হররায় আজ কান্নার সুকন্যা
আর কান্নার জলে হাসির বন্যা
বয়ে যায় কেবল। কবির মগজ যা ভাবে, কলম তা লেখে না
কবির অনুভূতি যা দেখে, চোখ তা দেখে না
কখনো। কবির কবিতা যেন আজ এক রূপকের চাতাল
সেখানে কবিতার শব্দগুলো আজ রূপকের খোলসে আধাঘুমন্ত মাতাল
হয়ে খেলা করে। কবিতার ভাষা আজ কেমন আড়ষ্ট হয়ে গেছে যেন
অকস্মাৎ দেখে কোন
অদ্ভুত কালো পোষাকের ছায়াকে
কখনো পিছনে সটান দাঁড়ানো অদৃশ কোন কায়াকে
অনুভব করে কবি-সত্তা নিমিষে নাই হয়ে যায়।  
কবি তাই আজ বড়ই বিভ্রান্ত, একেবারে অসহায়
বলা যায়; মারাত্মক হত তার আশা
কেননা, গুম হয়ে গেছে আজ কবিতার ভাষা