আমিতো তোমাকে ভালবেসেছিলাম, বড্ড বেশি আদেখলেপনায়
কিছু মিষ্টি মিষ্টি খুনশুটি ভরে এগিয়েছিলাম বেশ কিছুদূর, ভাবনায় চেতনায়
তো কোন রকম কোন ঘাটতি ছিলনা আমার, আর ভালবাসায়!

সেতো পরিপুষ্ট বিশ্বাসের উৎকৃষ্ট নির্যাসের কত না অর্ঘ্য দিয়ে
সাজানো ছিলো। আর তুমি কী করলে! ভালবাসার অলি-গলি পেরিয়ে
শেষ দরোজা গলিয়ে ভেতরে ঢুকেই আমাকে দিলে দেখিয়ে

তোমার বীভৎস এক দোহারা চেহারা। তোমার টক্সিক ইচ্ছার
ভয়ংকর তাপে-চাপে-প্রভাবে তখন বড্ড বেহাল দশা আমার;
এ আমি ভিতরে ভিতরে নেতিয়ে পড়ি, দম বন্ধ হয়ে যায়, বারবার

আমি দিশেহারা হই। হিসেব নিকেষ করে ভাবি-এমনটিতো হবার নয়!
অতঃপর সম্বিত ফিরে পেয়ে আমি সহসা ফিরে আসি আপন সত্তায়,
যা তুমি আগে দেখনি। বস্তবাদী রক্তিমায় খুব নেচারাল ভঙ্গিমায়
আমি উদ্ভট মোড়কে অচেনা ঘ্রাণের এক স্বর্গীয় চকোলেট দিলাম তোমায়

তুমি দিলে সেলফি; কী রূপক বিনিময়! অদৃশ্য হারাহারির রূপক হার!
যেন বন্ধুত্বের এভারেষ্ট চূড়ায়, যেখানে আমি তোমার, তুমি আমার
স্বার্থের সূতায়বাঁধা একাকার, মনে হলো গোটা দুনিয়াটা যেন দুজনার

তুমি খুশি হলে, আমিও কিছুটা; বেশ স্বস্তিতে আপ্লুত হলাম দুজনে
হয়তো ঘোরের মধ্যে ছিলাম কিছুকাল, অতঃপর দূর আকাশের কোণে
হঠাৎ স্বস্তি উড়াল দিলো, দুতরফের ভালবাসা বন্য হলো দুর্ভেদ্য বনে

আমি চাপ অনুভব করি, হিংস্র তাপে মুষড়ে পড়ি, ভেসে যাই সুনামির বানে
আমি শেষ কৌশল নিয়ে ভাবি, ভাবি-কার কাছে যাবো, যাবো কোনখানে
আরো ভাবি- নেশাসক্ত দুজনারে আজ এ কোন মরণখেলায় টানে?
              (পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। রচনাকাল-জুন ২০২৪)