হে মানুষ! বৃথাই কেন তোমরা স্বস্তি চাও?
কেন শান্তি চাও? আমিতো জানি-তাকে কোথাও
খুঁজে পাবে নাকো আজ আর
আরো জানি-স্বপ্নিল আবেশ তোমার
কিছুতেই কাটে না কখনো;
বাড়ন্ত স্বপ্নরা এখনো
কেবলই খুবলে খুবলে খায়
তোমার ক্লান্ত হাড়-মাংস-মজ্জা, হায়!
জানি তবুও পাবে না, কখনো পাবে না
স্বস্তি ও শান্তি, কেননা-
ঐ দেখ মহাকাব্যিক দৈত্যরা খেলা করে
উদ্দাম খেলা করে প্রকাশ্য রাস্তার পরে
এমনকি আকাশে পাতালে। কোন পথ দিয়ে পালাবে?
তোমারও প্রিয় মাংস টুকরোদরে বিক্রি হবে
শিয়াল-শকুনী-কুক্কুরী কিংবা ডানকানা মাছের কাছে
তুমিতো জাননা-কে কোথায় বসে আছে
কেবলই ওঁৎ পেতে
পড়বে যে ধরা কখন কার ফাঁদে,
কে জানে! নির্বীর্য সময়ের ঝুল-বারান্দায়
কত আর কাটাবে আকাশ দেখে, হায়!
কতক্ষণ আর বলো লুকোবে চেহারা, ওরে
শিশুতোষ সাহিত্যের পাতায় গবেষকের ভান করে করে?
জানি প্রতিটি দিবস তোমার 
আজ এক একটি বিশ্বযুদ্ধ; হুলুস্থুল এপার-ওপার
প্রতিটি রাত তোমার গহন কলংকে
পুল-সিরাতের মতো কেবলই দীঘল এক আগ্রাসী আতংকে
জানি, এ বিশ্বযুদ্ধ কখনো শেষ হবে না তোমার
শেষ হবে না এ পুল-সিরাত কোনদিন পার হওয়া আর
কেননা, ঐ যে কুহুকিনী গণতন্ত্র কেবলই অসহায়
প্রেমাংশুর রক্ত চায়, রক্ত চায়
হে মানুষ, পালাবে তুমি, কোন পথ দিয়ে পালাবে
অবশেষে বেঘোরে হারাবে
জীবন-যৌবন-মান, সব কিছু জীবনের তরে
কেননা, সব পথে-পথে ঐ যে দৈত্যরা খেলা করে
উদ্দাম খেলা করে

(বাংলাদেশের এক সময়ের চিত্র অংকিত হয়েছে এখানে)