বৃক্ষ চাই, আরো বেশি বৃক্ষ চাই; সারাক্ষণ
চারিদিকে অরণ্যের মতন হুলুস্থুল বৃক্ষের জীবন
চাই।সেই আরণ্যক সভ্যতার বিশ্বস্ত পরিবেশে তাই
আজ জীবন্ত জীবন নিয়ে বাঁচতে চাই
চাই চারিদিকে কেবলই এক জীবন্ত জীবন
আমরাতো জানি- বৃক্ষ-সভ্যতাই সনাতন
মানুষেরই পদশব্দ পেয়ে বুঝি সহসা একদিন
পৃথিবী যৌবনবতী হয়েছিল বৃষ্টিস্নাত ষোড়শীর মত দ্বিধাহীন
মৃত্তিকা-ত্বকে তার লেগেছিল লাবণ্যের ঝিলিক বৃক্ষ-যুগ জুড়ে
এনে দিয়েছিল তাই যেন ভুবন খুঁড়ে-খুঁড়ে
একদিন মানুষের জন্য জীবন্ত জীবন, আর
দিকেদিকে যৌবনের অফুরন্ত জোয়ার
বৃক্ষ ও মানুষ তাই বড় কাছাকাছি, জীবন ও যৌবন যতটা
জীবনের জন্য বৃক্ষ তাই সেই থেকে শ্যাম-রাধিকা
শুধু কি দিকেদিকে ফুলেল সভ্যতায়
এই ভালবাসা বেঁচে থাকে, জীবন পুষ্পিত হয়?
সমুদয় বৃক্ষ কি এতই কাষ্ঠল, এতই পণ্য-সম্ভার?
কেবলই জীবন বাঁচাতে, জীবন সাজাতে বারবার,
চৈত্র-সংক্রান্তির বারোয়াড়ী মেলার মতন
আরো জীবন্ত করে তুলতে এই জীবন্ত জীবন?
বৃক্ষ সভ্যতার এ অদৃশ্য মাহাত্ম্য কি করে
হবে এতটাই আটপৌরে!
তাহলে কবির আকাঙ্খায় কেন পুষ্পিত হলো একদিন-
‘এ মেলোডিয়াস প্লট অব বীচেন গ্রীন’