কেবল তুমি চেয়েছিলে বলে দীঘল হয়েছিল আমার চন্দ্রাবতী স্বপ্নের ছায়া
তোমার অদৃশ্য চৌহদ্দিতে। তখনো বুঝিনি সবই মিছামিছি গ্লিসারিন-জল
সেখানে ছিল না কোন কলাবতী মনের ছোঁয়া কিংবা কামসূত্রের কায়া
শুধুই দাঁড়িয়ে থাকা হাতের তালুতে নিয়ে ফেইক কোন নিয়তির ছল
মনে পড়ে কি, কতদিন ইংরেজী বিভাগের সামনে কলাভবনের কোনাটায়
কেবলই দাঁড়িয়ে থাকতে চন্ডিদাসের মতন কারো জন্য অস্থির অপেক্ষায়
হিসেবের খাতায় ভুল করে করে কেবলই বেড়েছিল আমার অনাগোনা
যৌথ অবুঝের আবছায়া আঁধারে কতইনা বোবা ভাবের হোলি খেলায়
কাটিয়েছি কতক্ষণ আমরা দুজনে; প্রেমের কাছাকাছি কথার জাল বোনা
তোমার সাংকেতিক আস্তানার দিকে কখনও সহস্র মেঘদূত ভেলায় ভেলায়
পাঠিয়েছি আমন্ত্রণ কত! অমরাবতীর পাখি কেবলই ছায়া ফেলে ফেলে
উড়ে যায় যেন কোন সুদূরে, মেপেছি পথ তার বোধের জানালা ঠেলে-ঠেলে
এখনো কি দাঁড়িয়ে থাকো তেমনইভাবে দিন শেষে কোন আঙিনার কোণে?
চলেছ কি টেনে সংসারের ঘানি তালুতে নিয়ে ফেইক কোন নিয়তির ছল?
পঁচিশ বছর পরে এটুকু জানার সাধ কেন জাগে আজ আমার অবসর মনে!
বলতে কি পারো এখনো কেন বাজে পাজরের মাঝে বয়সী স্মৃতির বিউগল
(তার উদ্দেশ্যে নিবেদিত, জানিনা সে কেমন আছে এখন।)