(প্রিয় শিল্পীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত)
অতঃপর নীরব প্রতিবাদে হঠাৎ-কুয়াশার মতো চলে গেলে!
কার বিরুদ্ধে, কিসের বিরুদ্ধে এই প্রগাঢ় অভিমান করে ছিলে
এই অসম হট্টগোল চত্বরে এতকাল ?
তুমি কি দেখ নাই চেয়ে- ফুটন্ত একগাল
হাসি নিয়ে গোলাপগুলো আর গোলাপের মতো হয়ে রয় না
মাঠের ঘাসেরা আর সগর্বে সবুজ হয় না
কখনো। চাঁদ আর কখনো তার
ষোলোকলার রূপের বাহার
কাউকে দেখায় না - সে কোন অভিমানে!
তুমিওতো দিব্যি এই প্রতিবাদ মেলার মাঝখানে
এসে অদেখা বীরের মতো পারতে
মগজে-মননে শব্দে-বাক্যে সুর-তাল-লয়ে বিগড়ে যেতে
একেবারে আমার মতো। আমি একদিন ঠিক তোমার বিপরীতে যেয়ে
শীর্ষের অতিকাছাকাছি কোথাও সকরুণ চেয়ে
হৃদয়ের সবটুকু কান্না নিবেদন করেছিলাম- ‘হয়ত তবে,
একদিন নীরব প্রতিবাদে আমাকেও চলে যেতে হবে,
জানো, সেদিনে কী ছিল পাহাড়ের প্রতিক্রিয়ায়?
বলেছিল-সমাজের মানুষগুলো নাকি আমায়
একেবারে খারাপ জানবে। তাই সেদিন থেকে
এই আমি সবটুকু অভিমানের কান্নার জল আগুন করে গায়ে মেখে
১৮০ ডিগ্রী বিগড়ে গিয়েছি। যত অভিমান আমার
ক্ষোভের প্রতিবাদের জ্বলন্ত প্রবাহমান লাভা হয়ে বারবার
বেরিয়ে আসে আমার কবিতার আগ্নেয়গিরি চত্বরে
কেননা, আমি চাইনি বাঁচতে কখনো ঠিক তোমার মতো করে
তুমি তোমার ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা আগুন জাগাতে পারনি
যে তোমাকে মুখ ফিরিয়েছে তুমি তাকে পিঠ ফেরানোর চাবুক মারনি
কখনো। কেননা, তুমি তো আমাদের মতো সত্তা নও;
তুমি সকলের মননের সাথী হয়ে রও
কিন্তু তোমাকে ধারণ করে, এতবড় হৃদয় কোথায়?
কীর্তির বিপরীতে করবে আজীবন মহিমান্বিত তোমায়
এমন নির্ভেজাল মহান তারা তো নয়!
তাই তারা দিল তোমার সত্তাময়
সগর্বে বড় উলঙ্গ-আদলে অস্বীকৃতির এক তীব্র হলাহল ঢেলে
আর তুমি! রাগ বিলাবলের রেশ ধরে আস্তে করে মিলিয়ে গেলে;
জগৎ তার তাবৎ বিস্ময়ে দেখল এক বিস্ময়কর ‘বিনিময়’
জানি না কেন, জগতে এখনো এমন ইতিহাস তৈরি হয়!
(প্রিয় শিল্পীর নামটি ইচ্ছা করেই উহ্য রাখলাম,
আশা করি প্রিয় পাঠক বুঝতে পারবেন)