অতঃপর স্তব্ধ কবির অন্তর্গত সত্তায় বুঝেছি-কিছুই করার নাই
আর তোমাদের। তোমরা তাই আজ নিয়েছ অদ্ভুত এক ঠাঁই
তোমাদের চুপসে যাওয়া একান্ত নিজের ভেতরে
হস্ত-পদ-মস্তক গুঁজে। তোমাদের ভাষা আজ গুমরে গুমরে মরে
একান্ত সময়ের কোণে সারাক্ষণ, ভালোকরেই জানি-তোমাদের তাই
আজ আর কিছুই বলার নাই
তোমাদের ভাষাগুলো জানি মরেনি, একেবারে মরে গেছে
তোমাদের উদ্ধত মাটির মতো সাহসগুলো, হয়তো তারা আত্মহত্যা করেছে
কোন কুক্ষণে, কোনো এক প্রগাঢ় অভিমানে
তাই বুঝি অতি সাবধানে
নিজের সাথে করেছ তোমরা এক অদ্ভুত রফা এক অসমশর্তে
কিন্তু এই অত্যাচারি সময়ের অন্ধকার কারাগর্তে
কীভাবে কাটবে বলো তোমাদের মুষড়েপড়া জীবনের সময়?
তাই তোমরা বরং বিড়াল পোষো; নাদুস-নুদুস আদুরে বাঙময়
কোন বিড়াল; তাদের লালন করো পালন করো তাদের সাথে করো খেলা
দেখবে খুনসুটি করে দিব্যি তোমাদের কেটে যাবে বেলা
তাতেও যদি বোর ফিল করো, তবে প্রত্যেকে কবিতা লিখিও খাতা ভরে ভরে
সেখানে সযত্নে বড়বেশি স্তুপ করে
নিয়ে আসিও ঘাস-লতা-পাতা, ফুল-পাখি
সাগর-পাহাড়-মেঘ, ঝন্জা-বাদল-বজ্র-বিদ্যুৎ মাখামাখি
সেখানে বাধিয়ে দিও এক হুলুস্থুল লংকাকান্ড-বিশ্বযুদ্ধ প্রায়
তারপর বিশ্বমোড়ল হয়ে এক অদ্ভুত শান্তির ছলনায়
করিও ফয়সালা তার;
সাগরের উপর মেঘ নাকি মেঘের উপর পাহাড়
দেখবে কেটে যাবে সময়; কী এক অদ্ভুত ফিলিংস!
তাতেও যদি বোর ফিল করো, তবে শুরু করো তোমাদের শেষ ইনিংস-
জগতের সব দরোজো-জানালা বন্ধ করে
মনের ভেতরে সবটুকু মন ভরে
আপন ভূবনের কোন এক মানস সরোবরের সোনালী জোছনায়
নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিও কবিতার ডানায়
দেখবে সহসা আধোজাগা সত্তায় অজস্র স্বর্গীয় অপ্সরা এসে
মোলায়েম পরশে পরশে
তোমাদেরকে ক্রমশঃ অশরিরী করে তুলেছে
তোমরা ভাসছো আর ভাসছো, অশরিরী আত্মা তোমাদের ভুলেছে
জগতের যত গ্লানি, যত নিকস অন্ধকার
আর অস্থির সময়ের নিষ্ঠুর অত্যাচার, অত্যাচার