সে আমার পথের দিশারী, নিত্যদিনের গুরু, বলতে পারো সে আমার সাক্ষাৎ ভগবান
আমি অপূর্ণ মানুষ, বড় অসহায়, তাই সেই আমাকে চালায়, করেছে ভাগ্যবিধান
আমার জন্য থরেথরে, সারিসারি
কত রকমারি বিধান, কত যে  গভীর তারা, ভারীভারী!
সেই আমাকে ভেতরে-বাহিরে রিষ্টপুষ্ট করে, বিবেকের সাথে ভাবায়
সে আছে বলে চারিদিকে ঘুরিফিরি, কত কিযে করি! কখনো অসহায়
ভাবি না নিজেকে
কিন্তু কিযে হলো তার, দেখছি কিছুদিন থেকে-
সে আর আমাকে কিছু বলে না, যা বলে সবই কবিতার ছলে
সবকিছু শর্ত দিয়েদিয়ে বলে
কিছু বুঝি, কিছু বুঝিনা, শুধু এইটুকু বুঝতে পারি
দিনেদিনে আমি পথ হারাচ্ছি, হারাচ্ছি স্বপ্নের চাতাল, ভাবনা রকমারি
হয়ে যাচ্ছি অপূর্ণ-অসহায়, হচ্ছি নিঃস্ব, রিক্ত
ক্রমান্বয়ে ডুবে যাচ্ছি এক বিদঘুটে অন্ধকারে, ভয়ংকর শ্বাপদের অস্তিত্ব
টের পাচ্ছি আজকাল চারিপাশে ভয়ংকরভাবে
বুঝিবা আমার অস্তিত্ব অকস্মাৎ কর্পূরের মতো উবে যাবে
একি দশা আমার! তারই বা এ কোন শনির দশা! কেন সে বোবা হয়ে গেল হঠাৎ করে
সে কি আসলে নাই? অতঃপর এক অচেনা সোনালী স্বপ্নের ঘোরে
দিব্য দেখলাম-সেতো আছে, তবে আমার থেকেও অসহায়
শক্ত করে পিস্তল ঠেকানো চারিদিক থেকে তার কপালে মাথায়
কে আছে তারে উদ্ধার করে? চোখ-মুখ তার কালো কাপড়ে জড়ানো
আসলে তার হাতে এক অমোচনীয় হাতকড়া পরানো