আমি জানি তোমার অনেক মারণাস্ত্র আছে; হরেক রকমের-
দূর পাল্লার, বহুদূর পাল্লার, আরো বাহারি কত কী ধরণের
তার বিধ্বংসী ক্ষমতার অশেষ মাত্রাও আমি বেশ জানি;
মূহুর্তে সে আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাঁক করে দিতে পারে, তাও মানি

আমি জানি এর থেকেও আরো ভয়ংকর মারণাস্ত্র আছে তোমার
যার নাম অর্থ, যার ক্ষমতা অশেষ, অপার
সে ক্ষমতার পাদপীঠে ভিক্ষুকের দল লুটিয়ে পড়ে
দাসানুদাসের মতো মাথা নত করে
জানি তুমি এই ক্ষমতার যাদু দিয়ে সকলকে মগজহারা করতে পারো
একেবারে, তাইতো নানা কৌশলে সারাক্ষণ এই ক্ষমতার চাবুক মারো

এইসব মারণাস্ত্র নিয়ে তুমি বড্ড বড়াই করো আর রাজনৈতিক ছলনাভরে
বড়বেশি চাপ দিয়ে, জুলুম করে
আমার কাছ থেকে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাও
এই ত্র্যহস্পর্শ  কৃষ্ণপক্ষে এবার পারবে কি তাও?

কিন্তু তুমি জান না আমার আছে কী ভয়ানক মারণাস্ত্রের ভান্ডার
না জান তুমি তার অপার ক্ষমতার বাহারি আকার
আমার তেমন কিছুই নেই; আছে প্রথম মারণাস্ত্র দেহভরা শূন্যতা
আছে ভয়ংকর গোপন এক নিঃস্বতা
বলা যায়- সে তলহীন খাদের সমান
জানি কখনো তার তল পাবে না তোমার এ ক্ষমতার বলিষ্ঠ বয়ান

এর থেকেও আরো এক ভয়ংকর মারণাস্ত্র আছে আমার
তুমি জান না তার বিধ্বংসী ক্ষমতার ধার,
তবে এবার শোন তার নাম-
সে আমার নির্বুদ্ধিতা , দুর্বুদ্ধিতা অবিরাম
তাদের একটি যথার্থ ভুল সিদ্ধান্তই যথেষ্ট তোমাকে ‘না’ করে দিতে
আর তোমাকে শূন্য করে আমার শূন্যতায় ভরে নিতে

আমার সর্বশেষ সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রের নাম তুমি কি জানো?
তুমি মানো আর নাই মানো,
সে তোমাকে মগজশূন্য করে দিশেহারা করে দিতে পারে
যে তুমি উদ্ভ্রান্তের মতো কেবলই ঘুরবে জগৎ-সংসারে
আমার সে মারণাস্ত্র এক পথহীন পথের নক্সায় বাঁধা
এক জীবন্ত মহাগোলকধাঁধা
যা সকলের সকল মারণাস্ত্রের সমান
যার নাম-‘আমার মতো করে গড়া আমার পরিসংখ্যান’