হে সংসার বিবাগি নারী, হে কুয়াশার কবি,
আদমের পতন নিয়ে আর কত ফিলোসফি!
জীবন-বিমুখ হয়ে যাদুঘর সময়ের মত কতকাল আর
এই একাকিত্ব-বিলাস তোমার!
জীবন থেকে পালিয়ে পালিয়ে কী আর আছে লাভ বল
এবার এগিয়ে চল, শুধু জীবনের পথে এগিয়ে চলো
এবার হও সমাজমুখী, ধারণ করো তোমার কবিতায় শুধু জীবনের বুলি
এবার আদমসন্তানদের শুনাও তবে শুধু জীবনের কথাগুলি

কেবলই হতাশার হেমলক নিয়ে দিনান্তের অপেক্ষায়
আর কতকাল! এ আত্মঘাতী বিলাসিতা আর কি মানায়?
জেনে রেখো, পাহাড়ের পশ্চিমে সূর্য অস্ত যাবে
সক্রেটিস নিঃশেষ হবে
তবুও রাজার ভুল ফিলোসফি রয়ে যাবে ঠিকই
তাই আর কেন ফাঁকির জীবন, কেন এই কবিতার ফাঁকি!

এবার তোমার কবিতায় সমাজের শব্দগুলি,
জীবনের শব্দাবলী বারুদের মতো জ্বলে উঠুক কেবলই
ঝলসে যাক রাজার ভুল ফিলোসফি
হিপোক্রিসি, যত হঠকারিতা ঝলসে যাক সবই
চন্দন মাখানো কেন আর তবে মাইকেলী কিংবা কালিদাসী শব্দ-প্রতিমায়            
গুনাই বিবির নোলক কিংবা সখিনার হাঁসুলি আজ আর তোমার কি মানায়!
হে, বিশ শতকের নারী, তোমার নারীত্ব এবং কবিত্ব এবার জাগুক   
নদীর মতো শুধু পাড় ভাঙুক,আর পাড় ভাঙুক    
নদীও নারী হয়ে উঠুক তোমার কবিতায়

হে নারী, হে কবি, কোন অভিমানে হায়!
মানুষের গ্রাম ছেড়ে আজ নির্জন এন্টার্কটিকায় নীরব পরবাস
কেন তুষার শীল কিংবা তিমির সাথে সহবাস   
এসো বন্ধ্যাত্বের বন্ধন ছিড়ে আজ সৃষ্টির মহরতে,
চেয়ে দেখ এখনও যন্ত্রণারও জীবন আছে, আছে জীবনের পথে
সহমর্মিতা, ভালোবাসার ছড়াছড়ি। তাই কবি হও রূঢ় বাস্তবতার পথে    
হে কবি, নারী হও শুধু জীবনের রথে       
বধু হও কারো, হও কারো মমতাময়ী মাতা
কর্মই হোক কেবল তোমার এবং তোমার বিলাসিতা