হে ছায়াসত্তা! তোমার ঐ মোহন রূপ চন্দ্রকলার মতো
দেখাবে ভূবনময় সূর্যমুখী চেতনায় আর কত! আর কত!
সূর্যের সন্তানেরা আজ বিগলিত শ্রাবণ সন্ধ্যায়
ঝিঁঝিঁর সিম্পোনীতে একাকার হয়ে যায়
কেবলই শ্যাম্পেনে সিক্ত হৃদয়
হে ছায়াসত্তা! আর নয়, আর নয়
তবে এ আগ্রাসী রূপের চৈতালি মেলা
আর নীরব কথকতার খুনখুন খেলা

শ্রান্তির কালিমা মিশিয়ে আজ সব লাবণ্যের লালিমায়
এসো কর্মী, কেবলই কর্মী দৃঢ়পেশী আর্কের বীর্যবত্তায়
কেবলই বিজয়ের প্রবল প্রত্যয়ে
অথবা প্রীতিলতার আপোষহীন দেশপ্রীতির প্রতীতির লয়ে
আর নহে সাগরবেলার মুনমুনী বালখিল্যতা
আর নহে তবে নূরজাহানের সর্বনাশী সেই সুরের মাদকতা

কেন তবে আর মৌসুমি বাড়তি মেদের আগ্রাসী তরঙ্গময়তা দিয়ে
এক অনিশ্চিত ভবিতব্যের দিকে অগস্তা যাত্রা সকলেরে নিয়ে
এবার এসো হে ছায়াসত্তা, এসো কর্মে কর্মে এবং কর্মের জগতে
এসো সত্য সুন্দর, এসো মোহন সৃষ্টির মহরতে।