শঙ্খনাদী নমোর প্রতিনিধিবৃন্দের ফেসবুক দেয়ালে কিছুদিন হলো সানিয়া মির্জার কুৎসা ভরপুর। উৎস তেলেঙ্গানা রাজ্যের ব্র্যান্ড এম্বাসাডার ঘোষণা। সানিয়া মির্জা ভারতীয় হবার অধিকারী নন কারণ তিনি পাকিস্তানি ক্রিকেটার এর স্ত্রী। সানিয়া মির্জা হায়দ্রাবাদের কেউ নন কারণ তিনি বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তেলেগু বলতে জানেন না। ইত্যাদী ইত্যাদী। সঙ্গে কিছু ছবি যেখানে ভারতের জাতীয় পতাকার পেছনে সানিয়া মির্জা পা তুলে বসে অথবা লন্ডন অলেম্পিকের উদ্বোধনী পরিক্রমায় হাত নিচু করে। এর পরে কান্নায় ভেঙে পড়া ছবি, তাতে সানিয়া বলছেন আমায় কিভাবে প্রমাণ করতে হবে আমি ভারতীয়।
আচ্ছা, বাংলার বর্তমান ব্র্যান্ড এম্বাসাডার কে? লোকসভার রেজাল্টের দিন তাঁর দেশ ছাড়ার কথা ছিল না? সেই সময়কার মাস চারেকের ব্যবধানের দুটো ভিডিও ফুটেজ থেকে তিনি মিথ্যাবাদী প্রমাণ করতে কি খুব অসুবিধা হত? তিনি বোধহয় গরগর করে রবি ঠাকুর বা শক্তি চাটুজ্জ্যে আওরান?
নাতো! কিন্তু তিনি কলকাতার সবথেকে দামি ও ঝাঁ চকচকে ক্রিকেট টিমের মালিক। যে টিমের কেউ বাঙালি না হলেও, জয়লাভ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে এক মঞ্চে বলড্যান্স করায়! বিশ্বের সবথেকে ধনী অভিনেতা। একে বাংলা কখনো ছেড়ে দেয়? যত্তসব সব উজবুক!
কিন্তু সানিয়া মির্জা? ভারতবর্ষের জন্য এত্তগুলো স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়কে সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে কেটে প্রমাণ করতে হচ্ছে তিনি ভারতীয়?
আর ওদিকে সুখেন দে কে দ্যাখো! দুদিন আগে সোনা জিতেই "বাঙালি বলতে নিজেকে ঘেন্না হয়" -বলতেই আন্দুলের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর মিস্টি আর পাঁচ লক্ষ টাকার এসিওরেন্স নিয়ে দোরগোড়ায় মন্ত্রীদের ভীড়।
মোদ্দা কথা হলো ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে কেঁদে কিছু হবে না, সরকারি কিছু পেতে গেলে প্রশাসনকে হয় ডন বা সুখেন দের মতো স্তাবক বানাও, নাহলে অগত্যা শহিদ সভায় হাজির হয়ে অপেক্ষা করো কবে তুমি দেবাদিদেব অধিকারী দেব বা নাস্তা বিস্কুটী মুনমুনি স্বাদ পেতে পার। বেশী হুড়াহুড়ি করে তাপসপালী আচরণ করলে বিনা অসুখে হসপিটালাইজ হওয়া ছাড়া অবশ্য কোনও গতি নেই।