কিছু নীল রক্তের স্রোত বয়ে গেলেন দেহের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। আমি কলম খুঁজে পেলুম। রঙিন সন্ধ্যাতারারা, যাঁরা বহুকাল ভিন্ন খোঁজের অপেক্ষায় অপেক্ষমান, ভীড় জমালেন রোমান থিয়েটারে। চারিদিকে শুধু দর্শক আর দর্শক। শুধু নীল পরীদের পাখির আস্তানা থেকে ঘোড়ার আস্তবলে রেখে, ছুট দিলেন কোন দিগন্তে। মাঝরাতের সেই গহিন নীলে কাউকে দেখা যাক বা না যাক, তাঁদের হতদরিদ্র চঞ্চু উঁকি দিলো আস্তাবলের এক কোনায় রাখা কৌটোর ফোকর থেকে। কিছু নীলচে সরু সরু কান্ডওলা গাছ সন্ধ্যাদ্বীপ জ্বেলে এদিক ওদিক তাকালেন রমেন মুখুয্যেদের বাড়ির খোঁজে। মুখুয্যদের ব্রাম্ভনী তকমা মুছে দিতে এক মুহূর্ত সময় অবশ্য নিলেন তাঁরা।
কি আশ্চর্য্য মাতাল কলমেও আজ লেখা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে!অথচ শক্তি চাটুজ্জ্যেও তা বিস্বাস করতেন না। আজ কমিউনিষ্ট মন ও বেমালুম সবকটা আঙ্গুলে আংটি পরে অজুহাতের পর অজুহাত দিয়ে যায়।
পাথরের পর পাথর ডিঙিয়ে নরখাদকদের হাজির করা হয় বিচার সভায়। সু বিচার পান না। না পাবার ই তো কথা ছিলো পারুলের হিংস্র বাবার! তিনি তাঁর মৃত নাতনীর ঠোঁটে যৌন চুম্বন দিয়ে দেহ তুলে দিলেন ডোমের দুবাহু তে। হে অবিমৃষ্যকারী, হে দ্বিচারি প্রভু আর কতো খারাপ খবর দেখাবে এই নয়ন যুগল কে? ভালো খবরের ট্যাগ মুছে কবে শান্তি আর শস্তি দেবে তুমি?
পঁচিশে বৈশাখ আসে। থ্যাঁতলানো এক চোখের ভাস্কর্যের মাধুর্যে তুমি কবে বের হবে বটতলা উদ্যানবাটি ছেড়ে প্রভুতীর্থে?