জ্বলে উঠো ওগো নির্যাতিত প্রাণ,  
একাত্তরের আগুনে গর্জে উঠে গাও—বিদ্রোহের গান।  
শিকল ভাঙার শপথ নিয়েছি,  
দাবায়ে রাখতে চেয়েছিল যারা; তাদের রক্তে ধুঁকেছি।  

অন্ধকার রাতে যারা ছিঁড়েছিল বুক,  
জ্বালিয়ে দিয়েছিল ঘর, তবু নিভেনি দুখ।  
ওরা মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিলো হাসি,  
তবুও বজ্রকণ্ঠে বাজলো প্রতিবাদের বাঁশি।  

ওরা এসেছিল বুলেট আর আগুন হাতে,  
কিন্তু জানেনি,
আঘাত পেলে দামাল ছেলেরা বিদ্রোহী হয়ে উঠে।
জীবনকে পুঁজি করে লড়েছিল যে জন,  
তার রক্তে রাঙা হলো স্বাধীনতার কানন।  

হে হায়েনা, শোনো, এই বুকে আগুন জ্বলে,  
তোমার বর্বর শাসন আমরা ছুঁড়ে দেবো আজ জলে।  
তোমার ট্যাংক, তোমার কামান ভয় কি মোরা পাই?  
এই হাতেই গড়েছি আমরা-বজ্রের রণসাজ।

তোমার দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাবে আজ,  
বাংলার আকাশে বাজবে বিজয়ের কলতান।
জ্বলতে দাও শহর, পুড়তে দাও গ্রাম,  
প্রতিরোধের আগুনে, করবো শেষ তোমার নাম।  

স্বাধীনতার মন্ত্রে ধ্বনিত বাংলার বুক,  
বিদ্রোহের প্রতি কম্পনে মারবো তোমায় চাবুক।
রক্তের বিনিময়ে আজ এ বিজয় কেনা,
এ মাটি জানে—কীভাবে শত্রুর চোখে ফোটাতে হয় বন্যা।

একাত্তরের সেই দিনে গর্জন তুলে,  
বিদ্রোহের অগ্নিশিখা পৃথিবীকে বলে —  
"আমরা বেঁচে আছি, আমরা জিতবোই,  
বাংলার পূর্ব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য উঠবেই।"