সেদিন ছিলো পহেলা আষাঢ় বৃষ্টি মেঘে ডুব
ধূসরপাতায় ঝগড়া আড়ি বন্ধু হলো খুব।
দোষ অভিযোগ বিপদমাসে নিষেধ ছুঁলে খাদ
রাখাল-রাধা ঘাঁটছে স্মৃতি নোনতা ঠোঁটের স্বাদ।
কালবোশেখী অবাধ্য খুব সামলে থাকা দায়
একটি ছেলে রোজ বিকেলে স্মৃতিকে সামলায়।
দেখবো না মুখ, রোদের কুচি, গ্রীষ্মবেলা ভুল
ওড়না, কাজল, কফির ধোঁয়া খোঁপার চাঁপা ফুল!
দেখবো না চোখ.. বর্ষা আসে, প্রবল প্রতিবাদ
শার্টের বোতাম লুকিয়ে রাখে শোলোকসাথী চাঁদ..
জানলা জুড়ে হিংসে রাখা, অন্যদিকে মন
চোখ পুড়ে যায় ভীষণ তাপে একলা সারাক্ষণ।
ছন্দ ভাঙে সন্ধ্যেবেলা অন্ধকারে জ্বরে
এমন সময় মন্দ হওয়া হঠাৎ মনে পড়ে।
পড়ছে মনে আলতো ছোঁয়া আঁকড়ে ধরা হাত।
পড়ছে মনে ঘুম পেরোনো অবাধ্য সব রাত।
মেঘ মেয়েটির বৃষ্টি চোখে হঠাৎ এলে ঝড়,
টের পাওয়া যায় জোয়ার ভাটা মিলছে পরস্পর।
ভুল ভেঙে যায় এমন দিনে.. আবার ফিরে আসা
অপেক্ষারা মোহর আলো তীব্র ভালোবাসা।
দু'হাত পেতে ভিজছে শ্রাবণ জলপুকুরে পা-
মনকেমনের পদ্ম পাতায় বৃষ্টি দাঁড়ায় না।
বৃষ্টি এলে খাতার পাতায় বৃষ্টি এলে ঘরে
রোদেরা সব শ্রাবণ তলায় মেঘেতে স্নান করে।
চুমুর পাশে আষাঢ় শ্রাবণ। গ্রহণ পুড়ে খাক-
একপশলা মাথুর পাড়ায় কবিতা জন্মাক।
ভিজছে মাটি, বুকের বাঁদিক ভিজছে শহরকোণ..
জল গড়িয়ে কান্না হল সেদিন অনেকক্ষণ।
তখন ছিল দারুণ দুপুর, তখন মানে কবে?
বৃষ্টি এলো প্রেমের মতোই আনত উৎসবে।
আজও তেমন গভীর হলো পদ্মপাতা মেয়ে
বৃষ্টি মাখে নীল শাড়ি রঙ রাখাল কিশোর পেয়ে।
বৃষ্টি এলো বৃষ্টি এলো পাপড়ি ভেজা মুখ
যাচ্ছে ধুয়ে উঠোন-দালান যাচ্ছে ধুয়ে সুখ।
ছাদের ওপর বৃষ্টি এলো অবগাহনের ঘরে গান
রাংতা মোড়া আবছা বিকেল ভাঙছে অভিমান।
চিলেকোঠাও ভিজছে অথৈ অঝোর শ্রাবণজল।
ডুব দিয়েছে বুকের আলোক চোরা মফঃস্বল।
এবার তবে অরণ্য হোক অন্য কথা চুপ।
ওদের ঘিরে সন্ধ্যে নামুক রাত্রি অপরূপ।
মন্দমউল হৃদয়পাড়া, কাজলকালো চোখ
একলা ঘরে বৃষ্টি-বাদল অসাবধানী হোক।