আজ তিন দিন হলো তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
একে তাকে জিজ্ঞেস করে জানা গেলো
শেষবার তাকে মন্দিরে দেখা গেছে।
তার আগে গীর্জার বেঞ্চে থম মেরে বসেছিলো!
মসজিদে ওর গন্ধ পেয়েছে যারা,
তারা চোখ ভর্তি পানি নিয়ে বলেছে রসুল এসেছিলো নিশ্চিত।
পথচলতি মেয়েমানুষ'রা জানিয়েছে সে নাকি মুখ গুঁজে নর্দমায় পড়েছিলো,
গায়ে কাপড় ছিলো না, নখের দাগ স্পষ্ট।
একটা মাতাল বললো ওর চোখে নেশা আছে।
একজন কবি বললেন, খবর পেলে না হয় কবিতা লিখে দেবো।
সবাই বললো! নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণা চাই একখানা।
শুধু একটি কদমফুল জানিয়েছে,
সমস্ত দেনা-পাওনা চুকিয়ে দেহ পেতে ও একটা মাঠ হয়ে গেছে।
মাঠের ভেতর সবুজ ঘাস, শিশির, শিউলি ফুল,
মাথার ওপর আকাশ, তারাদের ঘরবাড়ি
খুব গোপন প্রেম, ডুবে মরার মতো দিঘি, দড়ি ও কলসি
বুকে ধরে রেখেছে অন্ধকার, কাটা দাগের দেশ,
আধখাওয়া নদীর সংসার, আঁচড়ানোর ক্ষত–
আচ্ছা, বলুন না আপনারা দেখেছেন স্রষ্টাকে?
ওর বুকের বাঁদিকে প্রেম, ডানদিকে ধর্ষণের চিহ্ন!
নাভিতে ছ্যাঁকাপোড়া দেশ, জিভ উদ্ধার হয়নি।
গলায় একটা কাটা দাগ আছে, বিভাজনের।
গায়ে কোনোও কাপড় নেই।
স্রষ্টাকে দেখেছেন আপনারা? দেখেছেন??
আজ তিন দিন হলো ওকে আর ...