অর্জুনের গাণ্ডীব ভেঙে উঠে আসছে বীর্যহীন সাত মহারথী।
যুদ্ধকালীন পাঞ্চজন্যের খোলে বীভৎস চিৎকার ভরে
দ্যাখো কালোমুখ এগিয়ে আসছে মৌন মিছিলের দিকে।
শোনো, ওদিকে বেনিয়মের বাসাঘরে আজ জন্মেছে কালসর্প।
আর তার পেটে অসামান্য শাসন।
আমরা শুধু পূজারী বামুন।
তাই দুধ কলা দিয়ে পুষেই যাচ্ছি
যতক্ষণ না আর একটা কালসর্প আসে।
ঐ দ্যাখো শাসনের বানান খুঁটে উঠে আসছে
মন্থরা কার্যকাল।
দেখছো না, পঞ্চপাণ্ডব প্রাণ হাতে নিয়ে বসেছে তৃতীয় জোয়ারে।
দেখছো না, বাবা দশরথ ক্ষতরক্ত নিয়ে
ক্ষয়ের চৌকাঠে রেখেছে অর্ধভুক্ত মাথা।
মাতা নামা মেয়েদের দল সমাধিতে পেতেছে ঘরবসত।
নালভাঙা শালুক প্রেমিকাদেহরা উল্কাপিণ্ডে মুখ রেখে
আউরে যাচ্ছে পরিবার রক্ষার ব্রতবাহী গান।
রাহুগ্রাস এড়িয়ে,
যদি ফিরে আসে অনিশ্চিত পরিজন সব,
মারাত্মক কূটনীতির ঘনত্ব পেরিয়ে
প্রেতভঙ্গিমায় যদি বেরিয়ে আসে শিকড়ের লাল,
চোখ উপড়ে যাওয়া বাবা নামের পুরুষ,
বাঁ বুক খসে যাওয়া হতগর্ভ ধর্ষিতা বোন
কিংবা ছেঁচে যাওয়া আস্ত জনপদ—
যদি হঠাৎ’
পোড়খাওয়া বৃক্ষকে বলে
এসো দেখে যাও মরিনি আমরা,
বলো বাঁচার কোন্ অংশে ধরেছিলো পচন!
তাহলে আয়ুষ্কাল কোন দৈবে আস্থা রাখবে¡
ভাবতেই শিউরে ওঠে আমার থিতিয়ে পড়া হৃৎপিণ্ড।
আর এমন সময় ঝাঁকড়া কদমের তলায় বসে
আমাকে প্রেম দিতে বলছো অসহ্য সমাজ!
ঘরে ও দুয়ারে হাঁড়ি পেতে শান্তি জ্বলছে,
পোড়া বারুদ।
এই তো অভ্যেস মাত্র।
অতএব বলো!
শাসন শোষণ প্রিয়, এসো বলো 'বেশ'।
শরীরে গ্রেনেড দাও ঘুমোক এ দেশ।