রোজ-রোজ লিখতে বসলে,
সংসারের মতো বিষাদ আসে প্রবল।
খাতা বন্ধ করে বাতায়নের পাশটিতে দাঁড়াই।
গাছেদের নুয়ে পড়া দেখতে দেখতে
একটা আধভাঙা ‌শরীরে চোখ আটকে যায়।
এক একটা চামড়ার ভাঁজে
বিন মেহমান ক্ষত জেগে থাকে কালপেঁচার মতো -
ঘা শুকোয় না।

প্রায় প্রত্যেকদিন প্রেম থেকে মুছে যায় ভালোবাসা।
প্রায় প্রতিদিন ভালোবাসা বদলে যায় দেহস্থ অভ্যেসে।
তারপর শুরু হয় ধর্ষিত বাটোয়ারা নীতি
রাজার স্তবগান, পেটভিখারী দু-একটা চুলা জ্বালার গল্প,
ব্যস্ত শব্দের ফরমায়েশ ইত্যাদি প্রভৃতি।
রাস্তার আনাচে-কানাচে পথভ্রষ্ট স্রষ্টার মতো
মহান বাংলা খোঁজে ক্ষুধার্ত মানুষের দল।

উন্নয়ন বাংলার অ-কার এ-কার গুনতে গুনতে
খুব একচোট হেসে ওঠেন ভীষ্ম, দ্রোণ কিংবা শকুনি পুরুষ।
জটিল মৃত্যু সাজিয়ে
আমি কবিতার খাতায় লিখে ফেলি অশ্বত্থামা হত -
এসো, কালকূট নিয়ে যাও, চন্দন, আগুন, বিবিধ উপাচার...
অথচ দেহ নিতে আসে না কোনোও সোমত্ত শরিক।
খ্যামটা নাচা বোধের গর্ভদ্বারে
ধর্মাত্মার ন্যাংটো দেশ ফুরিয়ে আসে...
ক্রমশ।