আমি বহুভাবে তোমার জন্য অনুপযুক্ত-
তবুও কোন এক ছায়াপথে আছি লীন হয়ে;
দীর্ঘ আলোক শয্যা হতে হাত বাড়াই আকাশে,
গভীর নীল ছুঁয়ে ছুঁয়ে এখনো বেশ আছি বেঁচে!
আমি শাশ্বত জীবন্ত সন্ন্যাসী-
কমণ্ডলের জল ছিটিয়ে সূর্যের বুকে রাখি হাত;
তুমি মৃত নক্ষত্রের আলো চোখে হাঁট গ্রহান্তরে!
আমি প্রস্থানহীন পরিভ্রমণকারী-
তুমি সদা স্থানান্তরে নবসৃষ্ট আগন্তুক-
তুমি বিস্মৃত তোমার অগণিত পূর্বকাল-
আমি বার বার চিনে নিতে পারি তোমায়;
আমি কতবার ছুঁয়েছি তোমায়-
তুমিও ছুঁয়ে গেছ অচেনা সহযাত্রীর মতো!
তোমার স্বাদহীন মৃত কোরকে সে সবের
ছায়াছবি চিরকালীন স্পষ্ট,অবিকৃত,
তোমার দ্বারা ওসব বোঝা সাধ্যাতীত।
তুমি ঘোরের ভিতর ঘুরপাক অতি চঞ্চল;
তোমার ধ্বংস সংবহন মারার চেয়ে মরে বার বার,
তাই তুমি ফিরে ফিরে আস অগণিত ভাবে,
আমি স্মিত হেসে দেখে গেছি অহরহ,
তোমার প্রবেশ প্রস্থানে সাক্ষী অনাদি হতে!
তুমি হারিয়ে ফেলেছ বিস্মরণের পথে,
তোমার আমার প্রতিবারের অজস্র আলিঙ্গন;
আমার দেরাজে আমি সেসব রেখেছি থরে থরে,
তোমার যে প্রতিবার থাকে শুরু!
প্রতি জন্মের সাক্ষাতে নতুন পরিচয়ে বাঁচ তুমি;
আমি যে শেষ ছুঁতে পারিনি আজো,
বয়ে চলেছি পীড়াগ্রস্ত দুঃসহ অমরত্ব,
আকাশ-মাটির মিলনভুমির মত,
আমি যে কেবল দৃশ্যমান অস্তিত্বহীন দিকচক্রবাল-
আর তুমি মোহগ্রস্ত পথিক।