চলো আমরা আরও নিবিড় হয়ে যাই-
পল প্রতিপলের বিচ্ছেদ অসহ্য হয়ে উঠুক বেশ কিছুকাল;
স্পর্শহীন শরীর দুর্বিষহ হোক নিরন্তর,
সকল নতুনের ভিতর একেবারে ব্যাকরণ সন্ধির মতো-
জড়িয়ে প্যাঁচিয়ে লীন হয়ে যাই নতুন কাব্যে!
চলো নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে মিলিয়ে বাঁচি কিছুকাল;
রক্তস্রোতের ঘূর্ণির বুকে মিশিয়ে দিই একই প্রবাহ,
চোখের তারায় খোদিত করে নেই দুজনার স্থায়ী ভাস্কর্য,
প্রতিদিন অবিচ্ছেদ্য হয়ে উঠি মুকুলের ভিতর লুকানো ফসলের মতো-
তারপর কোন একদিন ছুতো খুঁজে নেবো বিভাজনের-
ছোটো,বড়,কারণ,অকারণ যেকোনো অছিলা নেবো খুঁজে,
সকল যুক্তি সরিয়ে বিপরীত পথে বাড়িয়ে দেবো পা-
একদণ্ড, দুদণ্ড, প্রতিদণ্ডে সরে সরে যাবো দূর হতে দূরে;
প্রতিফলিত আলো যেদিন নিশ্চিহ্ন হবে দুজনার চোখ হতে,
অস্থির ব্যাকুলতায়,ডানার ঝাপট যেদিন হবে পরিশ্রান্ত-
ছন্দহীন হৃদয় অলিন্দ যখন শিহরিত গোধূলি ক্লান্তি মেখে,
তখন ইচ্ছে ভাঙ্গন প্লাবনে জন্ম নেবে ঠিক বিলাসী বিরহ,
ঠাসা বুননের প্রেম ভেঙ্গে ভেঙ্গে সে বিরহে বিলীন হব তখন।
একটা ভাঙ্গন, আর কিছু উদাসী রাতদিন যদি না থাকে কোনখানে,
জীবন জুড়ে যদি না ওঠে জেগে ফিরে পাওয়ার ইচ্ছে,আকুলতা-
যেখানে নেই কোন হারিয়ে খোঁজার বিচলতা,না পাওয়ার বিহ্বলতা,
সে যে জীবন্মৃত সুখ!অসাড় শরীরে শুয়ে থাকে চিরকাল;
সে সুখ সরিয়ে তার চেয়ে চল,আকুলি ব্যাকুলি হয়ে উঠি মৃত্যু অবধি,
ফিরে পেতে চেয়ে যাই চল বহু আলোকবর্ষ দূরে,
না ফেরার নিশ্চয়তায় ব্যাকুল বিরহ মেঘের বৃষ্টি ঝরুক অবিরত;
আর সিক্ত শরীর বিলীন হতে থাকুক প্রতি ক্ষণে ক্ষণে;
অন্য জীবনের কোন একপথে গভীর মিলন কামনায়।