অনেককাল প্রকট অদৃশ্য অন্তরাল-
যা কিছু ছিল অপরিপক্ক তা নিশ্চয় এখন পরিণত;
অনেক রোদ্দুর পৃথিবীর মাটি ছুঁয়ে গেছে ফিরে,
হয়তো তোমাকেও- আমাকেও!
অনেক জ্যোৎস্না ফিরে গেছে খেজুরের পাতা ছুঁয়ে,
মখমলি ওড়না উড়িয়ে যুবতী জোয়ারে ভেসে!
হয়তো তুমি আমার মতোই দেখেছ তা পলকহীন
খোলা আকাশের চোখে চোখ রেখে।
এখন আমি সয়ে নিতে পারি কপট উষ্ণতা,
সয়ে নিতে পারি ঝঞ্ঝা-উন্মুখ মেরু শীতলতা-
হয়তো তুমিও শিখে গেছ আমার মতোই!
আচ্ছা! তোমার এখনো আমার কাছে ছুটে আসতে ইচ্ছে করে?
আগের মত- কোন কারণ ছাড়া?
জানি হয়তো করে!তবে তুমি তা কখনই মানবে না জানি;
সে তুমি নাইবা মানলে- নাইবা দিলে উত্তর!
কতকিছুই এভাবে পাঠিয়েছ লাশকাটা ঘরে অকপটে,
হয়তো আমারও অবদান আছে কিছু তাতে!
তবু এখনো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করি,
তোমার বালখিল্য অভিমানের কাছে হারতে চাই বলে;
তুমি বিশ্বাস কর বা না কর
গত পরশু তোমার জন্য চা বানিয়েছিলাম;
খুব যত্ন করে বানিয়েছিলাম,
তুমি আসবে না জেনেও টেবিলের উল্টোদিকে চেয়ার পেতেছিলাম,
টেবিলের উপর সাজিয়ে নিয়েছিলাম আমাদের অতীতগুলোকে!
চায়ের কাপদুটো থেকে বাষ্পগুলো পাক খেয়ে
একে অপরকে জড়িয়ে নিয়ে উড়ে যেতে যেতে
ক্রমে হারিয়ে ফেলছিল তাদের উষ্ণতা,
বিকেলের উষ্ণ চায়ের কাপে ধীরে ধীরে নেমে এসেছিল’
যুক্তিহীন ব্যবধানের গভীর শীতলতা!
অনেককাল হ’ল অন্তরাল-
এখন তোমায় নিয়ে আর কোন অভিমান হয় না আমার;
হয়তো তোমারও এ সব কিছু হয়না আর!
তবে চল- যে অদৃশ্য পাঁচিল তুলেছি দুজনে
ভেঙ্গে ফেলা যায় কিনা দেখি;
চল দেখি অন্তরালে কেমন বেঁচে আছি দুজনে।
অ-প্রাপ্ত থেকে কেমন প্রাপ্ত হয়েছি
শরীরের অলি গলির মতো মননের প্রতি কোনে কোনে।
চলো দেখি রিক্ত শাখার সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে কিনা
নবীন পাতার মুকুল।