আমার ঝুলিতে জমানো শেষ সম্বলটুকুও চেয়েছিলাম তোমায় দিতে;
দেরাজে এখনো তোলা মুখ বাঁধা,বন্ধ সে ঝুলি-
ভুলে গেছি তার অন্দরে ঠিক কি রেখেছিলাম তোমার জন্য!
সে ঝুলির গভীর হতে আজো ভেসে আসে সন্ধ্যারাগের আকুতি;
এইতো সেদিন!একা একা বসে এলাম সেই বধ্যভুমির সবুজ ঘাসে;
গঙ্গার প্রবাহে খুঁজেছিলাম সেদিনের ফেলে আসা বিশ্বাস,
দেখে এলাম তোমার আঘাতের অভিঘাতে দীর্ণ তৃণভুমি;
এখনো সেখানের সবুজ ঘাস-সব রঙ হারিয়ে ফ্যাকাসে হলুদ;
অভিমানি শিকড় গুচ্ছ এখনো জল শুষে নিতে চায়নি গঙ্গা হতে-
তারাও জেনে গেছে ওই স্রোতে এখনো মিশে চলে
ভাসমান মৃত ইচ্ছের শব হতে অনন্ত জলপ্রপাত!
কোন এক দলা পাকানো আবর্জনা আঁকড়ে তুমি পেয়ে গেলে সম্বল,
তারই করুণায় হয়তো তুমি কিনারা পেয়ে গেছ কোথাও!
ধ্রুপদী সন্ধ্যায় তুমি ছাড়িয়ে নিয়েছিলে হাত আমার হাত হতে;
আমি তিরবিদ্ধ পাখির মতো তারপর ঝাপটে ছিলাম কিছুক্ষণ;
সে তিরের ফলার বিষ মেখে শরীর এখনো বাঁচে নীল অভিমানে-
শরীর জুড়ে সে বিষের বর্মভেদ করতে পারেনি আর কোন হলাহল!
হয়তো এখন তুমি বেশ নিতে পার হারানো নিঃশ্বাস-
আমি আগের মতোই এখনো সম্বলহীন হয়ে ভেসে চলি কূলহীন।
বাঁচতে চেয়ে, ধরতে চেয়েছিল তোমার যে হাত আকুল হয়ে-
আজো ভুলিনি তোমার সে করুণ আকুতি আহ্বান-
সেটুকুর ছবি এঁকে চোখে,আজো নিয়ম মেনে ভাবি তোমায়;
ডুবে যেতে যেতে এখনো বাড়িয়ে রাখি-
তোমায় ভাসিয়ে,বাঁচিয়ে রাখার হাত।
তলিয়ে যেতে যেতে আমি গেছি ভুলে,তুমি হয়তো কোথাও আছ বেঁচে;
আমি তো এখনো কূলহীন, মৃত শব হয়ে ভেসে চলি মহা সুখে!