আমার দোতলার পশ্চিম বারান্দায়-
সন্ধ্যা নামছে এখন;
প্রতিদিনের মতো আজো দেখছি সূর্য ডোবা,
বৃষ্টি ধোয়া সূর্যের একমুঠো শেষ আলো-
মৃদুমন্দ বাতাসের সাথে মাখামাখি;
মেহগিনির এক শুকনো পাতা উড়ে এসে,
আমার পাশে তোমার জন্য রাখা জায়গাটাতে পড়ল!
আমার একান্নবর্তী স্নায়ুতন্ত্রে,
ধীরে ধীরে নেমে এলো রাতের অন্ধকার!
আমি ঠিক বুঝতে পারছি-সেখানে শুরু হতে চলেছে,
তোমার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি আন্দোলন,
আমার সকল পুরুষালী বৈভব জুড়ে,
ছড়িয়ে পড়ছে সে আগুণ,
ছুটছে বারুদ গন্ধ ধোঁয়া-
বকুল, নিমের ডালপালা ছুঁয়ে যে ক-ফালি আলো,
এসেছিল এতক্ষণ-
তারাও ফিরে গেছে সাদা বকের ডানা ছুঁয়ে।
আমি আবারও একা হব;
বিগোত্রীয় রাতজাগাদের সাথে বিষণ্ণ রাত জেগে।
আকাশের নীল ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য,
জেগে উঠবে তারা নক্ষত্র দল,
হাস্নুহানার থোকা হতে গন্ধ ছেনে,
হয়তোবা কেউ দিয়ে যাবে উঠোনে ঢেলে;
ব্যর্থ সে সব, ফিরে যাবে একে একে,
শুধু আমি গুনবো প্রহর তোমার জন্য!
আমার যে ওসবে পরোয়া নেই কোনো,
পুড়ছে শরীর, পুড়ছে সময়,
ঠোঁটের কোন হতে পোড়া রক্তের ধোঁয়া যায় উড়ে,
পৌষের কাকভোর আলপথ ধরে হাঁটি এখনো একা-
ঝুলিতে ঝোলানো সকল সম্বল দিতে অচেনা সে হাতে;
যে হাতে আমি তুলে দিতে চাই-
হাজার বছর ধরে জমানো বৈভব।
পৌরুষ অ-স্থানে, দু-স্থানে প্রকাশিতব্য নয়,
তাই কত যুগ চেয়ে আছি,
খুঁজে গেছি গ্রহে গ্রহান্তরে,নারী- শুধু তোমায়-
শুধু তোমায়, সব দিতে চেয়ে।
তোমার ছোঁয়ায় স্বীকৃত হোক-
প্রকাশিত হোক অপ্রকাশিত পুরুষ,
উন্মোচিত হোক তার পুরুষালি বৈভব;
ততদিন দাঁড়িয়ে থাকি নাহয় এ সিন্দুক চাবি হাতে।
শুকনো পাতারা পড়ুক যত খুশি ঝরে,
আমার আঙিনা জুড়ে।