অমরত্ব-

জল আয়নায় যে আগুন রঙপিণ্ড ভেসেছিল সারাদিন;
সে এখন বকের পাখায়-
রক্তিম গোধূলি ক্যানভাস।
হিজলের ডালে নিশাচর আড্ডায়,
এরপর শুধু জোনাক আলো-
গভীর রাতের জঠরে নীল শরীর;
ক্রমে কালো হতে হতে-
তারাদের চোখে চোখ রেখে দেখে;
জিন সাম্রাজ্য পতন।
শুধু মৃত্যুর পানে ধেয়ে চলে জীবন,
অমরত্ব খুঁজে খুঁজে,
ঠিক কতদিন, কোথায়, কেমনভাবে
থেকে গেলে আসে অমরত্ব!
জানা নেই সেসব কিছু!
হয়তোবা আসেনি কেউ কোথাও হতে,
হয়তোবা যাবে না কেউ কোথাও,
শুধু থেকে যাওয়া অন্যভাবে-
রুপান্তরিত শিলার মত,
অদৃশ্যে প্রবাহিত ফল্গুর মত,
শত সহস্র পূর্ব জন্ম ভুলে।  
জানা নেই অমরত্বের সংজ্ঞা,
তবু তা পাওয়া চাই!
তা পেলে ঠিক কি হবে জানা নেই!  
তাও, তবুও-
তবুও খোঁজা চাই অসংজ্ঞায়িত অমরত্ব,
আকাশে বাতাসে মাঠেঘাটে-
রণভূমি উল্লাসে কিংবা-
শোণিত স্রোতে ডোবানো শকুনের ঠোঁটে।
প্রবাহিত জীবন ধাবিত দিকচক্রবাল পানে!  
অমরত্বের হাতছানি দেখে দেখে;
ঘুমিয়ে পড়ে ক্লান্ত ক্যানভাস-
জল আয়নায় ভাসা আগুন রঙ পিণ্ড হতে,
নতুন রঙ ছেনে সকাল ছবি হতে চেয়ে।