পৃথিবীর পথে ঘুরেফিরে
ক্লান্ত আমি শহরের ধুলো গায়ে
শান্তি মিলে এই গোরের
শ্যামল ছায়া গায়ে মেখে
এখানেই তো আছে শুয়ে
আমার মা'য়ে শত জনম ধরে।
আপন মনে
ডাকি আমি দিবা রাতে
শুনে না ক্যান আমার মা'য়ে!
এই খানেই তো আছে শুয়ে
ঘাস লতার মায়ায় ঘিরে।
একলা একা কেমন করে!
আছে শুয়ে আমায় ছেড়ে
তিন হাত মাটির ঘরে।
কাছে এসে পাসে বসে
আমি দুলি দখিনা বাতাসে
মোহ ভুলে কোন এক স্বর্গ সুখে
নিচু সুরে
দু একটি কথা হয় মা'য়ের সাথে
একাই বলি দু'হাত তুলি
খোদার দরবারে
দুফোঁটা পানি ফেলি
আমার মা'য়ে থাকে যেনো
স্বর্গ সুখে; এই অধম ছেলের
দোয়ার জোরে।
জ্যোৎস্না রাতে মায়ের কোলে
মাথা রেখে চাঁদ দেখেছি কতো
এখন আমার অমানিশায়
সূর্য হারায় মেঘের দেশে
অন্ধকারে তারা গুনি
মাকে খুঁজি আকাশ পাতাল ভেদি।
রাত্রি এলে জোনাক জ্বলে
আমার মায়ের শিয়রে
মিটিমিটি কথা কয়
নিঃশব্দে বাতাস বয় সবুজ
কচি দুর্বা দুলে ক্ষণে ক্ষণে
চাদটা কাঁদে আমার পানে
নরম আলোর দুঃখ শোকে
আমায় ভিজায় প্রতি রাতে।
কলকল ধ্বনি তোলে নদী বয়
কবর পাশে; ভেসে যায় সব কিছু
খড়কুটোর মতো স্মৃতি গুলো
আমায় ফেলে পারি জমায়
কোন কিনারায় মহা স্রোতে!
খোদার কাছে আর্জি আমার
রোজ হাসরে দেখি যেনো
আদর মাখা দরদ ভরা
জনম দুঃখী মাকে।