আরো শতবছর কেটে গেলেও তুমি আমাকে ভুলতে পারবে না,
চেষ্টা করে দেখতে পারো ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার,
কিংবা পৌষ-মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে হিমালয়ের উচ্চতা
পায়ের নিচে ফেলে দেয়ার,
একশো বছর আগেও যেমনটা শরতে মেঘ উড়তো পাখির মতো,
ঠিক তার দ্বিগুণ বছর পরে নাও উড়তে পারে তারা।
বায়ুদূষণে পৃথিবীর ওজনস্তর হতে পারে পাতলা
ফিনফিনে জানালার পর্দা।
তারপরও তুমি ঠিকই বয়ে বেড়াবে আমাকে গোপনে বা প্রকাশ্যে।
আমার কবিতায় লেখা তোমার ছদ্মনাম, আরো কতো কবিতায় লেখা
তোমার ভ্রু, তোমার বৃদ্ধ বয়সের ঝুলে যাওয়া গাল
অথবা গোলাপী ঠোঁটের যে বর্ণনা লেখা হয়ে গিয়েছে আজ
তুমি চাইলেও হাজারটা ডাকাত , কুকুর, বখাটের দল লেলিয়ে দিয়েও
পারবে না আর কখনো তোমাকে, তোমার মুখকে মুছে ফেলতে।
এ এক অসম্ভব কল্পনার গেড়ে যাওয়া পাহাড়
চাইলেই কেউ পাহাড় কেটে করতে পারে না লোকালয়
কিন্তু তোমার বুকে যে পাহাড়ের মতো দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি
তোমার সাধ্য নেই আর তাকে সরানোর,তুমি বাকরুদ্ধ,
তুমি স্থবির হয়ে পড়েছো।
একবার ভুলে যাওয়ার চেস্টা করে দেখোই না,
কতোটা ভুলে যেতে পারো তুমি নিজেকে।
যে ফুল দুদিন যেতে না যেতেই আর সুবাস ছড়ায় না,
তার মতো তোমার হৃৎপিণ্ডে অনুভব হবে না আর কোনো অনুভূতি।
আমার মতো কাউকে হেঁটে যেতে দেখলেই,
বজ্রের মতো আঘাত হানবে তোমার অতি গোপনে
বয়ে নিয়ে চলা গোপন দুঃখ
তুমি একশো বছর কিংবা তারও পরে
গীতবিতানের মতো ঠিক আমারই রয়ে যাবে।
-মাহমুদুল হাসান মিল্টন
২৫.১.২০২১ । নলডাঙ্গা