বয়সটা পৌঁছে গেছে ষাটের গোঁড়ায়
ঠিকমতো পত্রিকাও আর পড়া হয়ে না
যে বয়সে নানু ভাই দাদু ভাই কাছে এসে দাঁড়ি টানার কথা
সে বয়স চলেও এসেছে, কিন্তু তারা কই!
ওরা তো আমেরিকায়। সাহেব হচ্ছে দিন কে দিন
বাংলা জানে না, আধো আধো কি সব বলে
ছেলে মেয়ে যার যার মতো পছন্দের দেশে
অভ্যস্ত বাপ দাদার ভিটায় পা পড়ে না তোদের
ছোট খোকার একবার বেশ জ্বর হলো
কোথায় পাই তার ডাক্তার! কি ঠান্ডা ছিলো সেবার।
তারপরও ওই বাড়ির পাশে যে আনিস ডাক্তার
তাকে রাত তিনটায় নিয়ে এসে একটা ব্যবস্থা হলো
কান্না থামলো, সকালে উঠে খাবে কি কিছু তো নাই
গুড় কলা দিয়ে মুড়ি চিড়া খাইতে চাইতি না
তার চাই মোড়ের দোকানের মিষ্টি আর সন্দেশ
তারও বন্দোবস্ত হলো, সবই হয়
কিন্তু খোকা বুড়ো বয়সে তোর বাপ জ্বরে বুকের ব্যথায় ছটফট করে
কোথায় তোরা আসবি কবে!
দাদুর বয়স কতো হলো, কার মতো হয়েছে রে?
দাদুর চেহারার ছাপ কি পেলো? দেখিনি তো,
তোরা আসবি কবে দেশে? তোরা আসবি কবে দেশে!
-মাহমুদুল হাসান মিল্টন
নারিন্দা, ঢাকা-১১০০
০৩.০২.২০২২