সাড়া নিয়ে নিরাসক্ত সময়ের আয়োজনে,
চোখ রাখা অবারিত নীলিমায় আনমনে।
গোধূলির উঁকি ছটা ঐ দ্যুলোকে এক কোণে,
সাদা কালো রঙে মাখা, শত মেঘ আন্দোলনে।
বহুদূরে শেষ হয়ে আকাশটা নামে যে বনে,
দুলছে পত্র শাখা হিম ঝিরঝির সে পবনে।
দৃষ্টি ভাসিয়েছি তালে চঞ্চলা মেঘ কম্পনে,
কত ব্যথা, স্মৃতিকথা, অভিজ্ঞতা পড়ে মনে।
কাঁটা হয়ে কেন যেন পুষ্প ফোটে আলিঙ্গনে!
নিবৃত প্রণয় ভাঙ্গে অজানা চাপা ক্রন্দনে।
পদধ্বনি যেন শুনি সে পুরনো ঘর-অঙ্গনে,
চলা ফেরা ছিল তার, যেখানে খুব গোপনে।
অনুভবে শূন্য পাণি খোঁজে ব্যস্ত অকারণে,
নিঃসঙ্গ বিহঙ্গ মন ন্যস্ত যেন অনশনে।
লোহিত লহরী ভাঙ্গে স্বপ্নে কি বা সজ্ঞানে,
সিক্ত অক্ষিগত লোর-বেদনা ঘাড়ে-গর্দানে।
নেই তুমি আর জানি ভবিষ্যৎ বা বর্তমানে,
তবে কেন রবে মোর চেতনে ও অচেতনে?