মজুর
হাতুরী শাবল চালা
হুকুমের দাস হয়ে করিস কাজ গতরে ধরায়ে জ্বালা
গড়ে তুলেছিস প্রাসাদ নগর জীবন হয়েছে কালা
চালা, হাতুরী শাবল চালা ।
গোলা ঘরে আনাজ আছে মেরেছে শক্ত তালা
খালি পেটে পাথর টানিস জুটে না অন্ন আধ-থালা
চালা, হাতুরী শাবল চালা।
আঁধার ঘরে বাতি জ্বালাতে লাগে এক ফোটা তেল
তাই জোগাতে দাস হয়েছিস মেনে নিয়তির খেল।
কেন তুই নাঙ্গা মজদুর; এটা কি নসিবের গর্দিশ?
নসিব তোর গড়িতে হইবে নেই তোর কি সেই আশিস।
খালি পেটে গাঁইতি চালাস ঘাম ঝড়ে সারা গায়
শুষিয়া লয় মহাজন সব তুই ব্যাটা অসহায়।
স্ত্রীর গায়ে ছিন্ন কাপড় উলঙ্গ ঘুরে সন্তান
কীভাবে গড়িস প্রাসাদ নগর গেয়ে জীবনের গান।
বাড়ে মহাজনের অর্থ বিত্ত বাড়ে না মজুরের মজুরি
খিদের জ্বালায় মজুরের ঘরে চলে শুধু আহাজারি।
সানকিতে লয়ে পান্তা ভর্তা আলু পটল ঝোল
তাতে মিটে বড় জোড় আধ ক্ষুধা মেটে না পেটের অনল।
তোদের চোখের অশ্রু দেখে কেউ খুলে না গোলার তালা
এভাবেই বুঝি কাটিবে দিন বদল হবে না পালা?
হায়রে মজুর! কর ভয় দূর কেন পড়েছিস দাসের মালা
দিন বদলের সময় হয়েছে এবার তোদের পালা
চালা, হাতুরী শাবল চালা।
- মাহমুদ লতিফ