বাঙালি
শোণিতে সিক্ত অবসন্ন শরীর তবুও শির উচ্চ
উপেক্ষা করে রক্তচক্ষু রাইফেল বেয়োনেট তুচ্ছ।
দুটো হাত ক্ষত বিক্ষত তবুও আছে বল
ভেঙেছে কত না বন্দিশালা দুর্গ কপাট শৃঙ্খল।
তামাটে শরীর কাদা-মাটি মাখা, করেছে কতো আত্মোৎসর্গ
উপরে ছাই ভিতরে অগ্নি যেন চির অম্লান অজেয় দুর্গ।
পতাকার জমিন এঁকেছে বাঙালি হরিৎ রং দিয়ে
মাঝে একখানা রাঙা রবি যেন তাঁর রক্ত পিয়ে।
ভুখা, নাঙ্গা তবু সে লাঙল জোয়াল চালায়
দৃঢ় হস্তে শক্ত জমিনে সোনার ফসল ফলায়।
ঝরে দেহে নোনা শ্রমজল আছে সোঁদা ঘ্রাণ
তবু আছে দেহে দম অফুরান যেন দুর্দমনীয় প্রাণ।
আত্নপ্রত্যয়ী তাঁরা গড়ে দেশ সবল দুই হাতে
গড়িয়া তোলে নিজ সন্তানেরে শ্রমে দিন-রাতে ।
নিদ্রা, ক্লান্তি, অসাড়তা করে না স্পর্শ তাঁরে
সশ্রদ্ধে অন্যে তাই নমিছে নত শিরে বাঙালিরে।