মেঘের বন্যা বয়ে যায়,ঝড় এবার এলো রে
বৃষ্টি হলো অঝড় ধারায় সুখ বুঝি গেলো রে।
বাছা আমার বড় হবে,মানুষের মতো মানুষ হবে
দুনিয়াটারে দেখে শুনে নীড়ে ফিরে আসবে রে।
ঋণ সে কোন অচিন পাখি চিন্তা আমি করি না,
বাছা আমরা প্রতিষ্ঠা পেলে,ঋণের ধার ধারি না।
পড়ালেখার পাইনি সুযোগ বাছা আমার পাবে সে
জ্ঞান তার দেখিয়েতো দুনিয়া তার গান গাবে রে!
বাছা তুই বাড়ি এলি?ছুটি বুঝি দিছে রে?
অমন করে চুপটি মেরে দাঁড়িয়ে কেনো আসিস যে।
বাছা আমার চোখ নামিয়ে চোখের পানে চায় না৷
বাছার বুঝি শরীর খারাপ কথা কবার চায় না।
বাছা অমনি হাত ধরে কয়,বাবা পড়ালেখা করুম না
তোমার কাজে হাত বটাবো দেশের বাড়ি ছাড়ুম না।
বাপের আকাশ ভাইঙ্গা গেলে বজ্র ধ্বনি আকাশে
বাছা একি কয় ভুল শুইনলাম নাকি কানে?
কেনো বাছা কি হলো রে
মন খারাপ করে তো মোয়া খা আম্মা তোর বানাইছে,
উল্লুকের মতো আজব গুজব তুই বকিস না যে।
আব্বা শহরে মন টেকে না,
মানুষগুলা স্বার্থপর,কেমন জানি তাকায় থাকায়,
চোখের ভিতর মনের কবর!
গ্রামের ছোয়াল তাই বলে কি
ওরা দাম দিবে না,কথায় কথায় খোঁটা মারে,
মন আমার দেখে না।
মন আমার ভালো থাকে না,তোমার কথা ভাইবা থাইকা যাই,
তবু এরা আমার পিছু কেনো যেনো ছাড়ে না।
শহরের বুঝি এই চলন,কথায় কথায় মার দেয়,
মাসে মাসে হিসেব বুঝে নীলকর নেয়।
আচ্ছা আব্বা আধুনিক সময়,আধুনিক বলে আছে কি?
আধুনিকের নাম দিয়ে তো প্রজাদের কাড়ে রুজি রুটি!একই জায়গা একই মানুষ,
নাম খালি বদলাইছে,প্রজাদের ভাগ্য গুলা,
তারা নিজের হাতে ঝুলাইছে!
ওয়াদা দেওয়াও আর কসম দেওয়াও,
ফেরত আমি যাচ্ছি না,তোমার সাথেই থাকবো আমি,
দেশের বাড়ি ছাড়ছি না।
বাপ হইয়াও এতো ক্ষণেও বাছার পানে চাই নাই,
বাছার আমার এ কি হাল,হাড্ডি ছাড়া কিছু নাই।
বাছার জেদ দেইখা বাবার চোখ গুলে জ্বলে রে,
গালগুলাতে নোনতা পানির বন্যা চলে রে।
অসহায়তা,অসহায়তা,অসহায় আমরা,
কষ্টেও কান্দি,রাগেও কান্দি,
কান্দা ছাড়া কিছু নাই,মনে কষ্ট নিবারনের আর কোনো পথ নাই।
মাথার উপর কত তারাগুলা ঝিকিমিকি জ্বলে রে,
কালকেই তারা কাছে ছিলো,আজ তারা অনেক দূরে।
তারাগুলা দেখতে দেখতে,
মনে বিষাদ এলো রে
ঋণের অন্ধকার মেঘগুলা,
তারাগুলা নিভিয়ে দিলো যে।