সামান্য আলো,চারিপাশে আধাঁর,
আমার অযথা দৌঁড়ানো,শেষ নেই মরিচীকার
এই ভিড় খুব সাজানো
অসাজানো জীবনে
এই মায়াপথে স্মৃতিগুলো হাতরাই,
তবু পথের শেষ নেই!
করুণ প্রকৃতিবিবর্জিত কঙ্কাল শহরে
কাকের আনাগোনা
নারীর ভেজা চুল
যান্ত্রিকতার বাষ্পে
তবুও এক মুঠো আবেগের হাসি

মুদ্রার অন্য পিঠ,ব্যর্থতা যেন কালো ধোঁয়া,
সফলতার দাবিদার কেউ,আর কেউ পায় না তার ছোঁয়া!
ছুঁতে পারে পতিতা
ছুঁতে পারে না-পতিতা
না -পতিতা এবং পতিতা
এই দ্বন্দ্ব পতিতা এক বড় পতিতা
সমাজের প্রাচীন বাঁধা নাকি মানুষের ভুল বিশ্বাস,
তাদের সমালোচনা,আর অপবাদ এক রাশ!

সমাজ ত এক রাক্ষসের লালা
যেই লালা নিঃসৃত হয় হৃদয় থেকে
অনীল আকাশ থেকে
অশুভ বাতাস থেকে
রীতি নীতি থেকে
মূলত অসমাজ থেকে
এক রাশ দীর্ঘশ্বাস
একি পাশ অবিনাশ

যদি বলো রাস্তায় যাব
তবে এসো খোলা শহরতলীর শিমুল গাছতলায়
অসমাজ,সে তো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে,
সমাজের কাঠগড়ায় অসমাজ বড় পাপী,মিথ্যা পূণ্যের রেশ কাটছে না!
বিবেক আজ গো-ভাগাড়ে,প্রবৃত্তির পূজা,
সহজাত চিন্তাগুলাকে ভুলে গিয়ে আবার খোঁজা!

তবে লুকিয়ে থেকো
অশুভতে নয়
কভু জানালার পাশে আমার নাম লেখা থাকে
ছুড়ে ফেলে দিও
কারণ আমি আছি
অসামাজিকতার চাদরে
আমার হৃদয়ে চুমু দিও বিনা আদরে
যদি লুকাও

তবে রাজবাড়ীর মাটির নিচে লুকিয়ে থেকো

আমি আছি, যদি তুমি মনে করে
এই চিন্তার মধ্যেই আছি


আচ্ছা আমি থাকব না,অসমাজিক পাগল কি করবে?

আচ্ছা আমি থাকব না,তুমি নতুন বিয়ে করবে?


আচ্ছা আমি তো আছি,তুমি থেকো,আমি আছি
এই বিশাল অন্তর্দ্বন্দ্ব এর বেড়াজলে আমি হাসি আমি কাঁদি
তোমরা তো অন্ধ
শিশুর রক্ত দিয়ে কেনা অন্ধ
এমন অন্ধ যে বেশি দেখেও
কম দেখে
আবেগ এর কাজ স্বার্থপরের,মস্তিষ্কের যুক্তি,
প্রচুর দোনামোনা,তবুও আবেগেই বন্দি!
আবেগ মস্তিষ্ক আর খোলা হাসি
হারানো মানুষ টির সাম্রাজ্যবাদের পতন
কি করুণ চাহনি
এই কবিতাটির মতো তার জীবন এর পরিসমাপ্তি
কবিতা কল্পনায় ভাসে,বাস্তবতায় আসে না,
গণতন্ত্রের কবিতারা মানুষকে ভালোবাসা শেখায় না!