হাজারও ভাইয়ের কান্না,
হাজারও বোনের কান্না
হাজারও মায়ের কান্না,
আাজ পথে প্রান্তে, দিগন্তে অনন্তে
যেখানে তাকাই সেখানেই।
শুধু একটি শব্দ বয়ে যায়,
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, আামরা মুক্তি চাই।
বিরহ বেদনায় কাতর প্রতিটি সীমন্তিনী
আজ নির্বাক প্রাণ নিয়ে খেলাকরছে।
প্রসূন- কুসুম আজ শূন্য খাঁ খাঁ করছে,
তাহার শোভন- সুদৃশ্য নেওয়ার জন্য
আজ নাই কেহ।
চির জন উল্লাসিত অর্ণব আজ
তার আপন আলয় গতিতে ফিরে এসেছে।
প্রকৃতির তটে আজ
মনোরম আকৃতি বয়ে যাচ্ছে।
তবে বাতাসের কান্না থামছে না,
থামছে না ভাই হারা বোনের কান্না,
থামছে না সন্তান হারা মায়ের কান্না।
আজ অচল হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী
জন শূন্য হয়ে গিয়েছে মাঠ, ঘাট।
তবুও সতর্ক হচ্ছে না কিছু
রক্ত মাংসে গড়া মানবতাহীন
মৃত ক্রোমোজোমের তৈরী নিকৃষ্ট প্রাণ!
একই সাথে নিজে মরছে, অন্যকেও মারছে!
হে মানব, কে দিয়েছে তোমাকে এই অধিকার,
হে মানব, তোমার তোঁ রক্তে মাংসে গড়া
প্রভুর দেওয়া জীবন,
কেন তোমার একটু অবহেলার জন্য আজ
লাখ লাখ প্রাণকে পৃথিবী ছাড়তে হচ্ছে?
কেন তোমার জন্য আজ
বহু কষ্টের তৈরী স্বপ্নের সংসার
ভেঙ্গে চোরমার হয়ে যাচ্ছে?
কেন আজ সেই অবলা- রমনী
বিরহের কাতর যন্ত্রনা সহ্য করতে হচ্ছে?
কেন আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি?
জানি হাজার চিৎকার করেও আমি
তোমার কাছ থেকে উত্তর পাব না।
তাই বলছি, নিজেকে বাঁচাও,
অন্যকে বাঁচাও, এই পৃথিবীকে বাঁচাও,
সতর্ক হও।ঘরে থাকো,
পরিবারকে নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকো।