নিঝুম রাতে চাঁদ দেখতে বেশ লাগে,
শূন্য আকাশের নিচে নিস্তব্দ মনে
প্রায় প্রতিদিনই রাজত্ব হয়।
এটা বোধহয় রাজসভা বিহীন রাজত্ব,
যেখানে একলা এক জগতের রাজকন্যা আমি।
সুলতান বলো আর সম্রাট বলো
বড় কোন অট্টালিকা নেই আমার রাজপ্রাসাদে,
এক প্রকান্ড জনহীন শূন্য অন্তরীক্ষ ,
চন্দ্র, সূর্য, জ্যোতিষ্ক কিংবা গ্রহানু
তাদেরকে আমার প্রজা বলতে পার।
তবে কি, রাজত্বটা আমার খনিকের জন্য ছিল।
নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করিনি কখনোই,
কখনো মনে হয়নি আমি একা,
জোর করে হাঁসতে হয়নি কবু।
সকলের মাঝে খুজে পেতাম নিজেকে।
বসন্তের সুভাস প্রতি বছরই আসে
কারোর জন্য স্মিগ্ধ আলোয়ে হর্ষ নিবেদন করে,
কারোর জন্য ঘন কালো মেঘ আঙ্গা করে যায়।
কেউ কেউ প্রেমী হয়
আবার কেউবা বিরহী।
শুনেছি বসন্তে নাকি - কৃষ্ণচূড়া, চাপা, কাঁচাপাকা,
কাঁঠাল চাপা, দোলন চাপা,নয়ন তারা, নগেশ্বর,
পলাশ আর বেলিফুল ফুটে,
তবে আমি কখনো তাদের সুভাস পাইনি।
গল্প,কবিতা উপন্যাস আর সোসাল মিডিয়াতে পড়েছি,
প্রেমিকরা জোছনার আলো কিংবা বসন্তের সুভাস
কোনটিই তাদের স্পর্শের বাহিরে যায় না।
বসন্ত তাকে মনোরম অনুভূতি দিয়ে যায়,
নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করতে শিখে
আরেকটি বারের জন্য।
বসন্ত কিংবা শরৎ হেমন্ত
কোনটিই স্পর্শ করেনি আমায়,
কখনো মনে হয়নি আলাদা কোন সুভাস অথবা প্রখরতা
ডেকেছে নিজেকে।
কেননা অতি সাধারন আমি।
কেউ কেউ বলে, প্রেম নাকি সকলের জীবনে আসে,
তার মাঝে সুখী সকলে হয়না,
আবার বিরহীও সকলে হয় না।
সুখ বলো আর বিরহী-
কোনটির মাঝে পড়ি না আমি,
কেননা- প্রেম আসেনি আমার জীবনে
আর আসবে কিনা তাও জানি না।