আজ ২৬শে মার্চ
মহান স্বাধীনতা দিবস।
স্ম্রিগ্ধ আলোয় ভরা মূহর্ত।
আজকের এই দিনটি সকলের কাছে
যেমনি গৌরব মাখা আনন্দের
তেমনি রক্ত ক্ষরন করা
অশ্রু ঝরা বেদনার।
ঠিক তেমনি নতুন প্রজন্মের নক্ষত্ররা
স্বপ্নের মতো মনে করতে
পারে আজকের দিনটিকে।

প্রশ্ন করতে পারে,
     চারদিকে কতকী আয়োজন, আনন্দ উৎসব-এ
     মেতে উঠা, খেলা-ধুলা ইত্যাদি ইত্যাদি
     আরো কত-কী?
তার মাঝে ও
     রক্ত ক্ষরন করা, অশ্রু ঝরা
     বেদনা শব্দটি আবার কোথা থেকে এলো?
     আর কেনই বা এত দুঃখ

স্মরণ করছি ৪৯ বছর
পূর্বের দিন গুলোকে,
স্মরণ  করছি স্বাধীনতা শব্দের
প্রথম বর্ণ ‘স’ কে।  
  স্মরণ করছি ইতিহাস শব্দের
শেষ বর্ণ ‘স’ কে।
হয়তো,
     তারই মাঝে খুজে পেতে পারি
     স্বাধীনতার মাঝে বেদনা শব্দের উত্তরটি।
ইতিহাস খুজতে গেলে,
      ইতিহাসের ইতি বৃত্তে পৌছাতে হয়তো পারব না।
তবে,
      প্রতিটি পাতা, প্রতিটি শব্দ
      প্রতিটি অক্ষর হৃদয়ে দানা বাদতে থাকবে।
      জানার আগ্রহ দীরে দীরে প্রখর হতে থাকবে।
      আরো জানতে ইচ্ছে করবে,
      জানতে থাকবে, পাতা উল্টাতে থাকবে,
      উল্টাতে থাকবে, উল্টানো চলবে,
      চলেই যাবে, তবে থামবে না,
      শেষ হবে না।

নিজের মাঝে প্রতিটি শব্দ
প্রতিটি রক্ত ঝরা বর্ণ প্রশ্ন কবরে,
করেই যাবে, তবে প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে
সময় চলে যাবে।
তারপরও শেষ হবেনা ইতিহাস।
শেষ হবে না ৭১-এর
প্রতিটি দিনের বিশেষত্য।
শেষ হবে না ‘মার্চের’ রক্ত
বন্যার অমরত্ব।
তবে হ্যাঁ,
     ইতিহাস পরিচয় করিয়ে দিবে
     সাড়ে ৭ কোটি বাঙ্গালির সাথে।
     ইতিহাস পরিচয় করিয়ে দিবে
     ৩০ লক্ষ বাঙ্গালির রক্ত সাগরের সাথে।
ইতিহাসে স্বাধীনতার মাঝে
      বেদনা শব্দের উত্তরটি খুজতে গেলে
হয়তো কখনো ইতিহাসের ইতিবৃত্ত টানতে পারব না,
তবে পরিচিতি লাভ করতে পারব
বাংলা মায়ের বীর সন্তানদের।
যার ফলশ্রুতিতেই দাড়িয়ে আছি
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাতে।

শ্রদ্ধা ভরে  স্মরণ করছি
বাংলা মায়ের বীরের জাতিকে।
শ্রদ্ধা ভরে  স্মরণ করছি
আর্মির কেম্পের এক কোনে পড়ে থাকা
বেউরিশ ধর্সিতা লাশের।
স্মরণ  করছি,
        ২৫ শের অন্ধকারচ্ছন্ন কলো রাত্রিকে।
স্মরণ  করছি,
        বাংলা মায়ের বীর শহীদ-গাজীকে।
স্মরণ  করছি,
        ১৪ ই ডিসেম্বর এর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের।
মোরা গর্বিত বাঙ্গালি,
মোরা বাংলা মায়ের বীরের জাতি।