মোটা চুলের খোঁপা আটকাতে
একটা ছোট্ট রাবার ব্যান্ডকে
যতটা প্রশস্ত হওয়া চাই
তেমনি
তোমার স্মৃতি রোমন্থনে
রাতগুলোকে
আমার নির্ঘুমতার ইলাস্টিসিটিতে
তারচে’ বেশিই প্রলম্বিত হতে হয়।

পৌষের তীব্র কুয়াশারা
ইহুদি আর্মির নির্লজ্জ তান্ডবের মতো
অপ্রস্তুত নিরস্ত্র আমার নিউরনে
একের পর এক হানছে
তুমিহীনতার মারণাস্ত্রগুলো।

আমার অজান্তেই চাক্ষুষ ধ্বংস হচ্ছে
আমার যুদ্ধ না চাওয়া প্রৌঢ়তা,
আমার নারীর মতো প্রশান্ত সুখ পিপাসু মন
আর
শিশুদের মতো সজীব সম্ভাবনাগুলো।
একের পর এক লাশ পড়ছে আমার,
আমার বিগলিত বিধ্বস্ত লাশের স্তুপ থেকে
মুখ তুলে তাকাই আমি-
না, ব্যবিলনের উদ্যান দেখতে না
মুখ তুলি-যেন নাক উঠাতে পারি
আমার রক্ত ও বারুদের গন্ধ থেকে বেরিয়ে
একটু শ্বাস পাই, তাই।

এরপর হতচকিত আমি
আত্মরক্ষার তুমুল প্রতিবাদে
বিরহের মিসাইল ছুঁড়ি
নৃশংস সমস্ত ‘তুমিহীনতার’ বিরুদ্ধে।
অথচও নিয়তির কাপুরুষচিত আায়রনডোম এ
নিস্ক্রিয় হয় আমার সকল প্রতিবাদের
সুতীব্র আন্দোলন।

আমিত্বের অবরুদ্ধ গাজায়
পোড়া বারুদের উপত্যকায়
অস্তিত্বহীনতার শিংগায় আমি শুনি
শেষ ফুঁৎকার।
আমার রসদ বন্ধ করে
ওরা আমার অস্তিত্বের চারদিক করেছে
সুকৌশল অবরোধ।

ওদিকে তুমিহীনতার অমানবিক দলটি
আমার উঠোনে বসেই আঁকতে থাকে
ষড়যন্ত্রের সুনিপুণ সম্পাদ্য,
কষে নেয় আমাকে নিরস্ত্রীকরণের সমস্ত গাণিতিক আঁক,
চালিয়ে যায় উৎপীড়নের উৎকৃষ্ট উপপাদ্য-
আমাকে তুমিহীনা করার।

তাই
এখন
এ মূহুর্তে
সব জ্যামিতিক ফরমুলার বাইরে দাঁড়িয়ে
শপথ নিয়েছি এক অনুসিদ্ধান্তের:
কালিমা শাহাদাত মুখে
ব্রেইন সেলের প্রতিটি নিউরনে অনুরণিত
‘তুমি’ কে নিয়ে
পরপারের পারাবার ভেঙে
একসাথে চলে যাবো।  

তোমাকে কেড়ে নেয়ার এ নষ্ট যুদ্ধে
কোন মিসাইল ভাঙবে
আমার হৃদয়ের এ অবিশ্বাস্য শক্তিধর
অসামরিক প্রকোষ্ঠ প্রচীর?
যেখানে তোমাকে আটকে রাখতে
এমনকি একটি দূর্বল রাবার ব্যান্ডেরও
প্রয়োজন নেই আমার!