গণতন্ত্রের নীতি, বাকস্বাধীনতার গীতি,
অসাম্প্রদায়িক ভক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তিই
ছিলো শোষিত বাঙালির প্রত্যাশা।
অথচ ৪৮ এর ঘোষণাঃ মোআজিন্নাহর বাসনা-
উড়বে পাকিস্তানী নিশানা; অন্য কিছু হবেনা
আজ থেকে “উর্দুই হবে রাষ্ট্রীয় ভাষা”।।
উঠলো বেজে সুর মলিন, সরাসপের উত্তপ্ত বীণ।
কেটে গেলো কয়েকদিন। তারপর ৫২ এর একদিন,
আবার সেই বাসনা; মোআজিন্নাহর ঘোষণাঃ
ঝরলো এবার কিছু নবীন প্রান, জাতির মনে অভিমান,
মুক্তির অগ্নিতপস্যার ঘ্রাণ, হৃদয়ে-হৃদয়ে অম্লান,
আর স্লোগানঃ “রাষ্ট্রভাষা বাঙলা চাই”; উর্দু না।
এরপর হয়ে গেলো ইতিহাস, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের বিজয় উল্লাস,
৬৯ এর হতাশার নিঃশ্বাস, ৬৬ তে ৬ দফার উদ্ভাস,
ও ৬৮ এর চক্রান্তে মুজিবের কারাবাস।
কঠিন হলো সংগ্রামী ভাষা, কাটলো বঙ্গবন্ধুর বন্দীদসা,
শুরু হলো অগ্নিতপস্যা ও ৭০ এর গদি পেয়ে গদিতে না বসা।
তারপর ৭১ এর জ্বালাময়ী ইতিহাস।
মরণের সাঁড়িতে বাঙালি সৈনিক, একে একে প্রায় লক্ষাধিক,
আসলো ৭ ই মার্চের দিন, বাজলো মুজিবের বজ্র বীণ;
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
ধরলো বাঙালি অস্ত্র, কায়েম করলো স্বাধীনতা সর্বত্র।
পারেনি দমাতে বাঙালিকে একটুমাত্র, তৈরি করেও কালোরাত্র।
মনে রেখো বিশ্ব ! এনেছি স্বাধীনতা হয়েছি স্বাধীন,
ইনশা’আল্লাহ্ আর কেউ পারবেনা করতে পরাধীন।।
মোআজিন্নাহ- মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
সরাসপ –সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
ঝরলো এবার কিছু নবীন প্রান- ২১ এ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২।
বাজলো মুজিবের বীণ-ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ।
কালোরাত্র- ২৫ মার্চ এর ভয়াল চিত্র; (Operation Search Light)
এনেছি স্বাধীনতা হয়েছি স্বাধীন- ২৬ মার্চ অর্থাৎ বাঙালীর স্বাধীনতা দিবস।