এইতো  সেদিন  পরাহ্ণে   দেখা  হলো,
কিছু  আলাপচারিতায়  পরিচয়  মিলল।
দিনটি ছিল বোধহয় শুক্রবার।।
কালো ওড়নায়  ছিলো  তোমার  মাথা  ঢাকা,
আঁকাবাঁকা সোনালি নকশায় ছিল সেটি আঁকা।
তারপর কপালে তোমার, একটি লালটিপ আবার।।

পাদুকা-বিহীন চরণ, আলতা মাখা আস্তরণ,
যেন কোন সুদক্ষ শিল্পীর আল্পনার অনুশীলন।
মনে হলো নতুন নাক ফোঁড়ানো তোমার।।
তুমি কি  যাবে নদীর ঔপার? আমি বললাম,
একটু পরে গেলে দোষ কি ? আমিও না হয় গেলাম।
হোক না এক সন্ধার, মিষ্টি খেয়া-পারাপার।।

তখন চাহনি তোমার ভীত-হরিণীর ন্যায়,
আজ বুঝি কেন, ঔতো প্রথম বাহিরে সাজ-বেলায়।
জীবনের এক নব অভিজ্ঞতা তোমার।।
আর আমি হয়েছিলাম সিক্ত এক রক্তিম ভালোলাগায়,
এ হৃদয় আনন্দে ভরেছিল সেদিন কানায়-কানায়।
হয়েছিলো হৃদয় আমার, সাত-সমুদ্রের আকার।।

আমার যাওয়া হলোনা শুধু তোমার মায়ায়,
যদি তোমার বদনখানি কিছুটা মলিন হয়।
তুমি একাই হলে নদী পার।।
আজও ভুলিনি তোমায়, বলো ভোলা কি যায়?
কিন্তু বুঝিনা, কি খেলা প্রতিনিয়ত চলছে এ ধরায়।
আমি একলা এধার, আর শুধু তুমি নদীটির ঐ পার।।