একদা এক পিপীঁলিকা
কোটরের ফাঁকে তাকায় আকাশে
দেখে ওড়ে চিল নির্ধিধায় তারই পাখায় ।
মনে ভাবে সে আমি ক্ষুদ্র অতি তাতে কি আসে যায়
আমিও উড়ব আকাশে! মেঘের মতন, পাখা এলিয়ে বায় ।
ভীষন আকাঙ্ক্ষা মনে মিনতির স্বরে ডাকে ওগো দয়াময়,
দিতে যদি! পাখা মোরে এ ক্ষীণ্ জীবনে তোমার করুণায়
মিটে যেত মোর স্বাদ আহ্লাদ থাকিত না মন অতৃপ্ততায় ।
দয়াময় আল্লাহ ফরিয়াদ শুনে
দানিলেন তারে জোড়া সুদর্শন পাখা ।
!!মহানন্দে আজ করিবে গাহন তাই সে নেই কোটরে
নেচে নেচে চলে দেখে রহস্যময় কত কিযে ভুবনটা জুড়ে
যে ছিল এতদিন সুখী’ গৃহে; সে যেন আজ বিলাস ভবঘুরে ।
অজানার কাছে এসে যেমন সবাইকে অজ্ঞ হতে হয়ঃ
মানুষ পতঙ্গ, পতঙ্গ মানুষ হেথায় কেহই অভেদ নয়
মানুষ বিবেকে দীক্ষা নিয়ে চলে, হতে সেই অহরহ পরাজয় ।
তাড়নায় সেকি দুরন্ত পিপীঁলিকা!!
একদা রাতে দেখে দূর হতে এক আলো আসে
দিগ্বিদিক না ভেবে পতঙ্গ অন্ধজ্ঞানে ঐ রশ্মিপথ ধরে মৃত্যু সায়রে
চলে বহুদুর পথ বেয়ে মহাসুখ আলিঙ্গনে প্রাণ ভরে নিয়তির তীরে,
অবশেষে কে জানিত, হায়! এটাই হবে তার শেষ গমন মরিবার তরে ।