রুপকথা নয় সত্যি যেন নিত্য ঘটে বাস্তবে
নিত্য ঘটে নয় গত সে জ্যান্ত ছবি আস্ত যে ।
কেউ পুঁজারী, পুঁজ্য কে তা নেতাই যে তা ঠিক করে
মন্ত্রী তন্ত্রী শেখায় পুঁজা, পুঁজায় যে তার মান বাড়ে,
মস্ত উদার হৃদয় যে তার সতত চামচার মুখ বলে
কোথায় পেলেন অগাধ টাকা বিলান যে তা হঠাৎ দানবীর হলে!
নেতার পাশে চামচা নাচে গাঁজন বিষে আর চামচা গীত ধরে
ইচ্ছে হলেই বিদ্যা বিলায় গাদ্দি গেলায় ধরা’য় সরাজ্ঞান করে
রুপকথা নয় সত্যি যেন নিত্য ঘটে বাস্তবে
নিত্য ঘটে নয় গত সে জ্যান্ত ছবি আস্ত যে ।
উদোর পিন্ডি বুদোর পিঠে অমনি ওঠে ঢল স্রোতে
নির্বিচারে হত্যা-খুনি দিব্যি জানি পার পায় ঐ আইন ফাঁকে,
নিজের গড়া আইনের কড়া ধার ধারে কার মতটাকে
তন্ত্র সুতায় আটকে শাসে আঁকড়ে বসে এই অরাজক দেশটাকে ।
দেখছি পথে খুন হতে আজ কিন্তু যে তার নেই বিচার
বলতে শুনি পরছে মারা ঐ বেচারা বন্দুক যুদ্ধে ক্রসফায়ার,
হায় হায় এই বাংলাদেশে নাই তো শুনি পুষেন খুনি সরকারে !
রুপকথা নয় সত্যি যে এক নিত্য ঘটে বাস্তবে ।
মোদের ঘারে থাপড় মেরে বলবে তারা করি আদর
বুঝেও যদি না বুঝি আজ বলব মোরা বিষ বাদর ।
সোনার হরিণ চাকরি যে আজ আকড়ি ধরে ঐ আছে
মেধার বিচার নাই হতে আর দেখছি যে ভাই তার কাছ,
সঞ্চারমান কোঠার জালে বন্দী হলে জন্ম বলে এই দেশে
হেই আজীবন! ধিক্ যে তোকে, মররে ধুকে তিক্ত শোকে বোল আসে ।
সুখ যে আমার গন্ধে তোমার চির সবুজের বুক হতে
যাক মুছে সেই প্রানের সুবাস, রাখতে আবাস ডর করোনি প্রাণ দিতে ।
ভেদ-বিবাদের মন্ত্র ফেঁদে তন্ত্র গেথেঁ আসেন তারা
দেখেন সদা চন্দ্রালোকে রাত্রি থেকে অন্ধকারে মশাল ছাড়া ।
মান যেন ভাই পণ্য আজি শক্তি টাকায় তাই কেনা যায়
তাই তো সে মান তুচ্ছ সমান ঠাঁই হতে নয় এই হিয়ায় ।
নন্দ জোয়ার ভাসছে দুয়ার ডাকছে কুহার বণ কেঁপে
বণ উজারি ভুক-ভিখারী দিক বিদারী কাঁদছে ক্ষুধায় বুক চেপে ।
নয় কাঙ্গাল দিব্য জ্ঞাণী, আজও জানি, করুক কদর কেউ তাঁকে
এমন স্বভাব ভিখ্ যাচে আজ অন্তরালে সভ্য সমাজ’ এর মাঝে!
রুপকথা নয় সত্যি যেন নিত্য ঘটে বাস্তবে
নিত্য ঘটে নয় গত সে জ্যান্ত ছবি আস্ত যে,
নিত্য ঘটে বাস্তবে ।।