ইতিহাস প্রেক্ষাপটে দেখেছি কতো অকপট নেতা
আদর্শ তাহাদের করিয়া লালন হইয়াছি সংগ্রামী জনতা।
অন্যায়েরে দেখাও আপসহীন হুঙ্কার তোমরা,
নিপীড়িত'দের বুকে টেনে তার অধিকারে জীবন বাজি রাখা।

অর্ধশত পার করিয়াছে স্বাধীন সোনালী সূর্য,
ক্রমশ রঙ হারায়েছে স্বাধীনতার মূল মন্ত্র।
দেবে দেবে শুনিয়া ধরিয়াছি যে ধৈর্য
যৎসামান্য দিতে আসিয়া বুকে ধরে অস্ত্র।
মুখ চেপে,বুক ভরা ক্ষোভে করিয়া যাই সহ্য
নাহি আছে অধিকার,নহে বিরাজমান স্বাধীনতা তন্ত্র!

বঞ্চিত বঞ্চিত বঞ্চিত,হ্যাঁ আমি বঞ্চিত!
বঞ্চিত আমার মাতা-পিতা।
ধরিব অস্ত্র,করিব যুদ্ধ,করিব বঞ্চিতদের মুক্ত,
কিন্তু কেন মোর একাত্তরে হইলো না জন্ম?
চাইলাম অধিকার, কহিল 'আমি রাজাকার'।
অধিকার চাইতে কী তবে হতে হবে একাত্তরের জন্ম?

আমার ভাইদের মঙ্গলে,
আমারই মা-বোনদের নিরাপত্তায়,
আমার তাজা প্রাণ হবে ঢাল,
আমারই দেশ মৃত্তিকার গৌরব রক্ষায়!

আমি একাত্তর দেখিনি,
তবে রাজপথে ওয়াসিম,সাঈদদের বীরত্ব দেখেছি।
আমি পাক হানাদার দেখিনি,
তবে রাজপথে রক্ত চোষক পুলিশ দেখেছি।
আমি পাক-সরকারি মোসাহেব দেখিনি,
তবে রাজপথে ছাত্রলীগের নৃশংসতা দেখেছি!

যদি একটি প্রাণে আমার ভাইয়েরা অধিকার ফিরে পায়
তবে আমাকে নিয়ে যা আর বিনিময়ে অধিকার দিয়ে যা!

যদি একটি মায়ের খালি কোল হয় তোদের সান্ত্বনা।
তবে আমার রক্তে তোরা তৃষ্ণা মেটা,
তবুও আমার বোনদের অধিকার দিয়ে যা!  

যদি একটি পিতার অর্তনাদে থামে তোদের নৃশংসতা।
তবে আমাকে টুকরো করে,
ফেলে রাখিস রক্তাক্ত শহরের ওই রাজপথটায়,
তবুও এই সংগ্রামী ছাত্র জনতার অধিকার দিয়ে যা।


যদি শত প্রাণেও স্বৈরাচারী তোর না মেটে ক্ষুধা,
তবে খুঁজে আনিস রাজপথে লড়তে থাকা,
'আমার অধিকার,ন্যায্য দাবি' চাইতে থাকা,
রঞ্জিত রাজপথের শহীদ,আমার সেই নিথর দেহটা!

রাখিস মনে,
কুলাঙ্গার তোর আঘাতে
বীরেরা কভু কী মরে?
তারা আবারো আসিবে ফিরে,
স্বৈরাচারী তুই জন্ম নিলে!