হয়তো সে ঐ পথটা ধরে হাটতে হাটতে
প্রিয় মানুষটার কথা আর মনে করে না।
বাহন না পাওয়ার ছলনায়
হয়তো সে আর কয়েক ক্রুশ পথ হেটে পাড়ি দেয় না।
ফোন কলের ঐ পাশের মানুষটাকে  
তার আর বান্ধবী বলে পরিচয় করাতেও হয় না!

হয়তো সে মুষলধারে বৃষ্টিতে ছাতা মাথায়
প্রিয় মানুষটার সাথে আর অট্টহাসিতে মাতে না।
সেই দক্ষিনি হাওয়া একরাশি শীতলতা বহে এনে
হঠাৎ তাকে আর হয়তো কাঁপিয়ে যায় না।

অগোছালো সেই শিশুপ্রাণ মেয়েটা  
প্রিয় মানুষটার অনিয়ম নিয়ে আর ঝগড়া করেনা।
হয়তো সে ওই মানুষটিকে কিছু বলবে বলে
নিজের শব্দ গোছাতে ছেঁড়া পাতায় আর ঝুড়ি ভরে না।
হয়তো সে নিজেকে মানিয়ে নিতে
আয়নার সামনে দাড়িয়ে আর অনুকরণবৃত্তি করে না।

মাতৃস্নেহে বেড়ে ওঠা আদুরে মেয়েটা
তাহার প্রিয় খাবার রান্নায় হয়তো আর আগ্রহ দেখায় না।
হয়তো সে আর রাত জেগে
তাহার ভালো লাগা মন্দা লাগায় নিজেকে অভ্যস্ত করে না।

সে প্রতিনিয়তই সাজে
হয়তো সে তাহার নজর কাড়বে বলে
সোল্লাসে একটি ছবিও আর ফ্রেমবন্দী করে না।
ওর সেই মায়ায় মাখা হাসিটা
প্রিয় মানুষটার জন্য আর পুষে রাখে না।

বর্ষার সেই দিনগুলোতে
চির প্রাকৃত সময়ে হয়তো সে তাহারে আর মিস করে না।
দীর্ঘ সময় পরের সেই স্বস্তিতে
তার সারা বেলার জমানো কথাগুলোও আর বলে না।

ভালোবাসা ভুলে নি সে
কালক্রমে হারিয়ে গেছে তার সেই মানুষটা!
কী বা চেয়েছিলো সে?
ভালোবাসার মানুষকে আপন করে চাওয়াটা কী অন্যায়?

কাটবে প্রহর, সময় পেরুবে
হয়তো সেও তাহারে যাবে ভূলে সময়ের ব্যাবধানে
কোন এক বিকেলের হঠাৎ সাক্ষাতে
চোখে চোখ রেখে নিঃশব্দে
বুকে চেপে থাকা শত শব্দ আড়ালে রেখে
বলিবে তারা, বেশ তো আছি মোদের এ সিদ্ধান্ত মেনে!!  




উৎসর্গ : To  [KJNA].
"তুমি আমার দীর্ঘশ্বাস। সেই শ্বাসের কারণ তুমি। শুরু ও শেষ তুমিই ছিলে।তোমাকে আকড়ে ধরার স্বাধ ছিলো,সাধ্যও ছিলো। আমিই একমাত্র দৃষ্টান্ত যে স্বাধ ও সাধ্য থাকা সত্ত্বেও প্রিয় মানুষটাকে হারিয়েছে !"