আজ তোমায় খুব পড়ছে মনে,
স্মৃতির পাতায় তুমি যে আজো
প্রজাপতির ডানার মতই রঙ্গিন।
ব্যস্ততায় হয়ত ভুলে যাই কিছুক্ষণের নিজেকে
কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তোমার স্মৃতি
আমার মন মন্দিরে বেদনার ডানা ঝাপটায়।
মাঝে মাঝে নিজেকে কেমন যেন অচেনা মনে হয়
আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখি আর ভাবি,
“এমনটাকি হওয়ার কথা ছিল?”
সেই স্নিগ্ধ বিকেল তপ্ত দুপুর রৌদ্রস্নাত সকাল আমি
আজো ভুলিনি।
আচ্ছা, তোমার কি মনে আছে সেই বিকেল?
পাশাপাশি বাড়ির পাঁচ তলার ছাদে,
এক ছাদে তুমি আর এক ছাদে আমি
আমার হারমনিকার সুর শুনে, এগিয়ে এসে
তোমার প্রথম প্রশ্ন,
“তাহলে আপনি ই এটা বাজান?”
“জি, আমি”।
এখনও বাজাই তোমার দেয়া হারমনিকা
তবে সুরের মাঝে ভাটা পরে গেছে,
পড়বেই বা না কেন?
আমি যে আমার হারমনিকার সব সুর হারিয়ে ফেলেছি
তোমায় হারিয়ে
তোমায় হারিয়ে বড় বেশি একাকীত্ব আমায় ঘিরে
ফেলেছে।
নাহ, আর পারছিনা, খুব কষ্ট হচ্ছে
বুকের মাঝে কেমন যেন একটা চাপ অনুভব করছি
তুমি কেন নেই? কেন হারিয়ে গেলে?
যদি হারাবেই তবে কেন মায়ায় জড়িয়ে ছিলে
মনে পড়ে? তুমি বলেছিলে,
“যদি কখনও হারিয়ে যাই তোমার বুকের গভীরে
আমায় রেখো, স্মৃতি গুলোকে সঙ্গী করে বলে দিয়ো,
আমি ভালবাসি তোমায়”।
আচ্ছা, আমার চাওয়াটাকি খুব বেশি ছিল?
জীবনের অশ্রান্ত এই চলার পথে
আমি শুধু তোমাকে চেয়েছিলাম
তোমাকে, তোমাকে এবং তোমাকে।
ভালবাসার শেষ সীমানায় চেয়েছিলাম
জানি তোমায় আর পাবো না
যেমনটা চেয়েছিলাম তোমায় ঘিরে
তা আর কখনই হবে না
তাইতো দিনের উজ্জ্বল আলোর মাঝে
নিজেকে ডুবিয়ে দেই হাজার ব্যস্ততায়
রাতে ঘুম অথবা কবিতার নিমগ্নতায়
তবুও মৃত স্বপ্নের ধ্বংসস্তূপে দাড়িয়ে
আমি জ্বলে উঠবার স্বপ্ন দেখি,
আর তোমার স্মৃতি কে সঙ্গী করেই,
আমি আজো তোমাকেই ভালবাসি।