নদীর পাড়ে বটের ছায়ায় বসে থাকা এক দুপুরে,
সবুজ পাতায় তান উঠেছে ঝিরিঝিরি মধুর সুরে,
দেখছে পথিক অচেনা জন ছুটছে যেন ত্রস্ত পায়ে,
তপ্ত প্রহর পথিক প্রবর ঠিকানা কোন অচিন গাঁয়ে।

সবে জানে ঠিকানা তার ছুটছে তবু এমনি ধারায়,
বাঁকা পথে গোলকধাঁধা পথের মাঝে পথটা হারায়,
পথের পাশের কত কিছু হাতছানিতে ডাকছে তাকে,
আয় মুসাফির দেখবি যদি চন্দ্রলোকের পূর্ণিমাকে।

মনের ঘরে অমনি যেন উঠলো জ্বলে রিপুর বাতি,
হারিয়ে দিশা অমানিশায় ঘুরছে পথিক নিঃস্ব অতি,
মরীচিকার মায়ায় ছুঁটে বুঝলো পথিক সর্ব ধোকা,
রিপুর মোহে মগ্ন থেকে আপনাকে আজ ভাবছে বোকা।

জানতো পথিক যেতে হবে শুন্য হাতে বিলাস বিহীন,
পায়নি তবু চুকিয়ে যেতে ইহকালের জমানো ঋণ।
এখন পথিক ঘুমিয়ে আছে ক্লান্ত হয়ে গাছের তলে,
মায়া মোহে মগন থেকে সাধের জীবন যায় বিফলে।

০৬/০২/২০২৫ খ্রিঃ