বহু শিকড় ছড়ানো শাখা বিহীন এক সরল বিটপী,
মাটির উপরে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকে যে,
যে নির্ভয়ে স্পর্ধা জানায় আকাশকে স্পর্শ করার,
ক্ষণিকের ঝড়ো হাওয়ায় মাথা কী অবনত হবে তার?
কি জানি, হতেও পারে!
বিশ্বাস যে বড় টলমলে অনুভূতি,
সযতনে সামলে রাখতে জানতে হয়,
কৃতঘ্নতার ভিড়ে শ্বাপদের লুক্কায়িত নখরের আঁচরে,
ক্রমাগত ঋণাত্বকতায়, অবহেলায় আহত হতে হতে,
একসময় নাকি মরে যায় অসীম আকাশসম হৃদয়ও,
আর আমরা মানুষ কথার ছুরিতে শান দিতে খুব পারদর্শীও বটে,
আমরা ঘৃণার বিষবাস্প ছড়িয়ে,
ঢেকে দিতে পারি আমাদের নির্মল আকাশ,
যেখানে সাগর ছুঁয়ে ছেনে ভেসে আসে শুভ্র মেঘ,
মানুষেরই জন্য আশীর্বাদ নিয়ে,
কে না ভালবাসে মেঘকে অথবা বৃষ্টি বিলাস?
নিঃস্বার্থভাবে ঘৃণার সেই বিষবাস্প ধুয়ে মুছে সাফ করতে,
মেঘ, বৃষ্টি এসে বিদ্যুৎ চমকের মতো সগর্জনে বলে যায়,
মানুষ, তোমরাও এবার ধুয়ে মুছে সাফ করো,
তোমাদের কলুষিত হৃদয়,
কিন্তু নক্ষত্র মানুষ তখন বিচরণ করে উর্বর অতীতে,
কিংবা স্বপ্ন বুনন করে চলে অবিদিত আগামীর,
বর্তমানে আর বাস করে কয়জন?
তখন সময় কাটে ব্যস্ততায় কোন এক কূটকচালে।
৩১/১০/২০২৪ খ্রিঃ